টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্বামীর প্রতারণার শিকার হয়েছেন স্রী রুবী আক্তার। জানা যায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের রক্তিপাড়া গ্রামের আঃ ছামাদের ছেলে শাহীন ঢাকা উত্তরায় থাই এর কাজ করত।
সেখানে কাজ করা অবস্হায় রুবী আক্তার নামে এক যুবতীর সাথে দেখা হয়। তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে প্রত্যাখ্যান করলে ঘটককে পাঠায় এক পর্যায়ে দেড় লক্ষ টাকার কাবিন মুলে রুবী আক্তারকে বিয়ে করে শাহীন।
জানা যায় রুবী আক্তারের বাড়ী জামালপুর জেলার বকশীগন্জ থানার বসুবস্তানা গ্রামের মৃত মিরাজুল হকের মেয়ে। রুবী আক্তার উত্তরায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টসে চাকুরী করত। সুচতুর শাহীন বিয়ে করে রুবী আক্তারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকত। দুই মাস ঘর সংসার করার পর শাহীন সবার অগোচরে গা ঢাকা দেয়। এদিকে রুবী আক্তার গর্ভবতী হয়ে পড়ায় সে কয়েক মাস গার্মেন্টসে কাজ করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করেন। পরে তার কোল জুরে ফুট ফুটে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। শাহীন সন্তান হওয়ার পরও রুবীর সাথে দেখা করেন নাই বলে জানান রুবী আক্তার। রুবী আক্তার রবিবার (২ জুলাই)তার স্বামীর বাড়ীতে একমাত্র কণ্যা সন্তান খাদিজা (৬)কে সাথে নিয়ে আসে স্বামীর খোজে। টের পেয়ে শাহীন বাড়ী হতে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়।
এব্যাপারে স্হানীয় ইউপি মেম্বার নাজিম উদ্দিনের সহিত যোগাযোগ করলে সে কোন প্রকার ব্যাবস্হা না নেওয়ায় সোমবার (৩জুলাই) ভুক্তভোগী রুবী আক্তার মধুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে খোজ নিয়ে জানা যায় প্রতারক শাহীন রুবী আক্তারকে বিবাহ করার আগে শাহীন ঢাকায় থাকা অবস্হায় কুমিল্লার মিদলাই গ্রামের তারিকুল ইসলামের মেয়ে রুমী আক্তারকে প্রেমের ফাদে ফেলে বিবাহ করে। রুমী আক্তারের ঘরেও জুনাইদ নামে ৯ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
তাকে কোন প্রকার খোজ খবর না নেয়ায় প্রবাশী হিসেবে জর্ডানে কাজ করে বলে পরিবার সুত্রে জানা যায়। জুনাইদ তার খালার কাছে থাকে বলেও জানায়।লম্পট প্রতারক শাহীন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্হানে একাধিক বিবাহ করেছে বলে পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।
শাহীনের পিতা আঃ ছামাদ জানান আমি শাহীনের একাধিক বিয়ে করার প্রতিবাদ করায় লম্পট শাহীন আমার কোন কথাই শোনে না এমনকি আমাকে ধরে মারপিট করে।এলাকাবাসী এ প্রতারক শাহীনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন।