সিনিয়র প্রবীণ বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ২০২২-ইং সালে গত বছরের (২৯ শে জুন) বুধবার বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিটে বগুড়া শ.মে.ক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ৫২ বছর সাংবাদিকতার পর তিনি দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও জয়পুরহাট জেলার সর্বপ্রথম ১৯৮৪-ইং সালে স্থাপিত প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তিনি হঠাৎ এ মৃত্যুবরণ করেন। ইতিহাস যাচাই করে জানা যায় তিনি আগে ঢাকায় পড়ালেখার পাশাপাশি ১৯৭০ সালে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা,‘সাপ্তাহিক নতুন বাংলা পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা’সাপ্তাহিক জয়পুরহাট বার্তা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক,দৈনিক দুর্জয় বাংলার পত্রিকার ব্যুরো প্রধান ও সাপ্তাহিক বালিঘাটা পত্রিকার পদে থেকে মৃত্যুকালীন সময় পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকতা পেশায় কর্মরত ছিলেন।তাহার আরও অসংখ্য ইতিহাস রয়েছে যা আজও অজানা রয়েছে।
যে ইতিহাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় তিনি সৃজনশীল ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার এক অগ্রদূত।
এছাড়াও সামাজিক বৈষম্য, নিপীড়িত মানুষের পক্ষে তার কলম ছিলো সোচ্চার। সাংবাদিকতায় নিজের সৃজনশীলতা ও রুচিবোধের চর্চা বরাবরই অনুজদের আকর্ষণ করেছে। শুধু সাংবাদিকতায় নয় তিনি ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি অধ্যাপক মুজাফ্ফর আহমেদ এর ঘনিষ্ঠ সহচর সাংবাদিক শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস।
সাংবাদিক শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার পৌর সদরের ০৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বর্গীয় শুকুলাল চন্দ্র দাস এর দ্বিতীয় ছেলে, মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও চার ছেলে সন্তানের জনক ছিলেন এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জীবদ্দশায় প্রবীণ এই সাংবাদিকের হাত ধরে অনেকেই সাংবাদিকতা পেশায় আসে এবং তাদেরকে তিনি নিজে প্রশিক্ষিত করেছেন। বর্তমানে তারা দেশের বিভিন্ন সুনামধন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সুনামের সহিত কর্মরত আছেন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক্স, রক্তচাপ কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বগুড়া শ.মে.ক. হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। তার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে জাতীয় প্রেসক্লাব,জাতীয় রিপোর্টার ক্লাব,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব,প্রেসক্লাব বাংলাদেশ,সাংবাদিক উন্নয়ন সোসাইটি অব বাংলাদেশ-(ইউএসবি),বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটিসহ দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম সংগঠনের পক্ষথেকে শোক পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। সব চেয়ে বড় বিষয় এই আজ ২৯ শে জুন তার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী বড় পরিসরে উৎযাপন করা সম্ভব হয়নি। একই দিনে পবিত্র ঈদ-উল আজহা”র কারণে শুধু মাত্র ধর্মীয় রীতি অনুসারে স্বল্প পরিসরে পারিবারিক ভাবে করা হলেও -৪-৫ দিনের মধ্যে বড় পরিসরে মৃত্যুবার্ষিকী উৎযাপনের দিন-তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।