রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাউটিয়া নারায়ণপুরে
জোরপূর্বক রাস্তা নেওয়ার দাবিতে দোকান ঘর ভাঙচুর ও হামলা প্রাণনাশের হুমকি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
মোঃ ওমর আলী মাষ্টার(৬০), পিতা-মৃত হযরত আলী, সাং-বাউটিয়া, ডাকঘর-নারায়নপুর, থানা-গোদাগাড়ী, জেলা-রাজশাহী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওমর আলী মাষ্টার বলেব , বিবাদী মোঃ আবু সাঈদ(৫৫), পিতা-মৃত এসতুল মণ্ডল, সাং-বানকুইপুর, ডাকঘর-বটতলাহাট, থানা-চাপাইনবাবগঞ্জ সদর, জেলা-চাপাইনবাবগঞ্জ। নিম্ন তফসীল বর্ণীত সম্পত্তি আমার স্ত্রী মোনা সুরাইয়া বেগম(৫৫) প্রায় ৪৬ বছর পূর্বে ক্রয় করিয়া নিম্ন তফসীল বর্ণীত সম্পত্তিতে দোকান ঘর (মার্কেট) নির্মাণ করিয়া অদ্যবধি শান্তিপূর্ণ ভাবে দখল ভোগ করিয়া আসিতেছি লাম । উক্ত বিবর্দী তার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে প্রায় সময় আমার নিম্ন বর্ণীত সম্পত্তির দোকান ঘর (মার্কেট) ভাঙ্গিয়া জমি দখল করার জন্য আমাকে নানা রকম ভাবে অত্যাচার করিয়া আসিতেছে ।
এ বিষয়ে গ্রাম্য সমাজের লোকজন মেম্বার কয়েক দফা বসেছে কিন্তু সমাধান করতে পারেনি। থানাতেও দুইবার বসা হয়েছে।
এরই সূত্রে ধরে উক্ত বিবাদী ও তার ভাড়াটিয়া প্রায় ৭০/৮০ লোকজন সহ দেশী অস্ত্রী-সন্ত, লাঠি-সোটা লোহার রড, লোহার শাবল, হাতুড়ি/হেমার বড় বড় টিপ চাকু, আরো কিছু নাম না জানা ধারালো অস্ত্র দ্বারা আমার দোকান ঘর (মার্কেট) এর পশ্চিম পাশের ওয়াল, ছাদ এবং দোকান ঘরের শার্টার ভাঙ্গচুর করে।
আমি তাদেরকে বাধা-নিষেধ করিলে আমাকে উক্ত বিবাদী ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন ধরে জোর জবস্থি করে আমাকে টানা-হাচড়া ও ধাক্কা ধাক্কি করে এবং আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
বিবাদী আমাকে বলে আমি যদি বেশি বাড়-বাড়ি করি তাহলে আমাকে মারপিট সহ প্রাণ নাশ করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। উক্ত বিবাদী আমার উপর যেকোন মুহুর্তে আক্রমন করিতে পারে এবং আইনশৃংঙ্খলার বৃদ্ধ ঘটাইতে পারে।
আমি নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছি ।
এ সময় পরিস্থিতি খারাপ দেখে নিরাপত্তার জন্য জান মাল বাঁচা তাগিদে আমি আনুমান তিনটা পনেরো মিনিটের দিকে
৯৯৯ এ ফোন দি তারপর তারা ভাঙচুর করে চলে যাওয়ার পরে প্রশাসন যোগাযোগ করে ওরা তো চলে গেছে আর এখন এসে কি করব ।
কোন সহযোগিতা না পেয়ে তারপর গোদাগাড়ী থানায় যেয়ে ১৯/৬/২০২৩/ তারিখ রাতে আনুমানিক ৭টা ৩০মিনিটের দিকে আমি নিরুপাই হইয়া আইনের আশ্রয় নেই অভিযোগ দায়ের ।।
বিবাদী সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো মিথ্যা ,স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জেনে দেখেন তার সঙ্গে কতবার সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুল ইসলাম বলেন অভিযোগ পাওয়া গেছে , এস আই আলতাফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।