কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৯জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের কান্দিগ্রাম দক্ষিণ পাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর পূর্বে ছয়সূতী ইউনিয়নের কান্দিগ্রাম দক্ষিণ পাড়া গ্রামের অমৃত মিয়ার ছেলে অটোরিক্সা চালক মো. মামুন মিয়া (২৮) এর সাথে ইসলামী শরা শরিয়ত মতে একই উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের পূর্ব আব্দুল্লাহপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে ঝুনু আক্তারের (২৫) বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার জীবন সুখেই কাটছিলো। এরই মধ্যে তাদের ওরশে ইয়ামিন নামে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। ইয়ামিনের বর্তমান বয়স ১বছর ৮ মাস। মামুন ইদানীং একটি সিএনজি কিনার জন্য তার স্ত্রী ঝুনুর বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে ৩ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টিসহ মারধোর ও মানষিক নির্যাতন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ জুন সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফের টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ঝুনু আক্তার টাকা এনে দিতে পারবেনা বলে জানানোর সাথে সাথে গৃহবধূ ঝুনুকে নির্মম ভাবে মারধোর করে মুখে ও কানের গোড়ায় রক্তাক্ত জখম করে মামুন ও তার পিতা মাতা। পরে শিশু পুত্রকে রেখে দিয়ে ঝুনু আক্তারকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় মামুন। খবর পেয়ে ঝুনুর মা মিনা আক্তার (৫০) ও বড় ভাই মাসুদ (৩৫) ঝুনুকে উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। এঘটনায় আহত গৃহবধূ ঝুনু আক্তার বাদী হয়ে তার স্বামীকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মো. মামুন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার স্ত্রী ঝুনু আক্তারকে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, সকালে তাকেসহ তাদের শিশু সন্তানকে মারধোর করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রীকে মারধোর করেছে।
এব্যাপারে গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের বিট পুলিশিং অফিসার কুলিয়ারচর থানার এস আই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।