জামালপুর জেলায় কর্মরত বাংলা নিউজ ও একাত্তর টিভির সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে হত্যা সাথে জড়িত সকল আসামীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে শনিবার (১৭ জুন) নান্দাইল সদরে এক বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসক্লাবের নান্দাইল সভাপতি হান্নান মাহমুদের সভাপতিত্বে ও নান্দাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল হক বাবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন নান্দাইল প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রভাষক মাহবুবুর রহমান বাবুল, সাংবাদিক হাজী রফিকুল ইসলাম খোকন, এবি সিদ্দিক খসরু, আবু হানিফ সরকার, জহিরুল ইসলাম লিটন, কাদের মাহমুদ ভূঁইয়া, শামছ ই তাবরীহ রায়হান, বিল্লাল হোসেন, এ হান্নান আল আজাদ, সাইদুর রহমান, শামসুজ্জামান বাবুল, আকরাম হোসেন সহ প্রমুখ। এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা বলেন, নাদিম এক সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। তিনি কোন অন্যায়কে প্রশয় দিতেন না। যার প্রেক্ষিতে বুধবার ১৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে দায়িত্ব পালন করে ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে মৃত্যুবরন করেন। সাংবাদিক নাদিমের ওপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যার ঘটনায় সাধুরপারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ আলম বাবু ও তার ছেলে রিফাতকে এবং এঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবী জানান উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকবৃন্দ সহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষেরা। এছাড়াও অবিলম্বে সাংবাদিক সুরা আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উল্লেখ্য, বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনিত চেয়ারম্যান মাহামুদুল আলম বাবু সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক মহিলাকে বিচারের আশ্বাসে ছলনা করে ২ ছেলে ও স্ত্রী রেখে বিয়ে করেন। পরবর্তী সময়ে সাবিনা ইয়াসমিনকে ১ কন্যা সন্তান রেখে মতা প্রভাব খাটিয়ে গত ৮ মে ২০২৩ তারিখে পিঠিয়ে তালাক প্রদান করেন। এ ঘটনা বাংলানিউজ সহ একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে ক্ষুব্দ হয়ে বাংলানিউজের ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট ও একাত্তর টিভির গোলাম রাব্বান নাদিম, দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি আল মুজাহিদ বাবু ও সপ্তাহিক বকশীগঞ্জ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন রোমন সহ অপর আরেকজনকে আসামী করে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত ১৪ মে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাবুনালে মামলা করেন। পরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা খারিজ করে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল আদালত। ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারক বজলুর রহমান এ আদেশ দেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ আলম বাবু ও তার ছেলে রিফাতকে এবং এঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন।