পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় বসত ঘরসহ জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় ঘরে ঢোকার মূল ফটকে তালা লাগিয়ে ভাতিজার পরিবারের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার ৪নং সূর্য্যমণি ইউনিয়নের নুরাইনপুর-তাঁতেরকাঠী সেতু-সংলগ্ন তাঁতেরকাঠি অংশে আঃ রব মৃধার বাড়ির পূর্ব পাশে পাকা টিনসেড ভবনসহ জমি লিখে না দেওয়ায় ওই ভবনে ঢোকার একমাত্র পথের লোহার দরজায় তালা লাগিয়ে প্রায় তিন মাস ধরে ভাতিজার পরিবারের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৪.০৬.২৩ইং তারিখ রোজ বুধবার সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নুরাইনপুর মৌজার ২০৬ নম্বর খতিয়ানের ১৬৬৪/১৮৫২ নম্বর দাগের ছয় শতাংশ জমির ক্রয়সূত্রে মালিক আবদুল বারেক হাওলাদার। ওই জমিতেই ২০১০ সালে একটি পাকা টিনসেড একতলা ভবন নির্মাণ করেন আবদুল বারেক। ওই ভবনের মধ্যে পূর্ব পাশে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে থাকেন। পশ্চিম পাশে নিজের আপন ছোট ভাই মো. মাঈনুল ইসলাম ওরফে বাবুলকে (৫৫) ভাড়া থাকতে দেন। ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর মারা যান আবদুল বারেক। কিছুদিন যেতে না যেতেই মাঈনুল ইসলাম ওই ভবনসহ জমি লিখে দেওয়ার জন্য আঃ বারেকের দুই ছেলে মো. তানজীর ইসলাম (২৮) ও মো. তানভীর (২৬) এবং স্ত্রী মোছা. আকলিমা বেগমকে (৫৬) চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
তানজীর ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্নভাবে ভবনসহ তাঁদের জমি লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন তাঁর চাচা মাঈনুল ইসলাম। নিরুপায় হয়ে তিনি (তানজীর) বাদী হয়ে পটুয়াখালী আদালতে উচ্ছেদ মামলা করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ভবনে ঢোকার একমাত্র পথে লোহার দরজায় গত ১৮ মার্চ তালা লাগিয়ে দিয়েছে মাঈনুল ইসলাম। বর্তমানে তাঁরা পিছনের দরজা দিয়ে অন্যের বাড়ির মধ্যে দিতে যাতায়াত করছেন।
প্রতিবেশী মো. আলতাফ হোসেন বলেন, বসতঘরে ঢোকার একমাত্র পথে লোহার দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়ায় এই পরিবারটি (তানজির) জিম্মি হয়ে পড়েছে। মানবিক কারণে আমার বাড়ির মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে দিয়েছি।মাঈনুল ইসলাম এসব অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, এই ভবনের অর্ধেক তাঁর টাকায় নির্মিত হয়েছে। এই জমি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য তাঁর ভাই (আঃ বারেক) টাকা নিয়েছেন। লিখে দেওয়ার আগেই তিনি মারা গেছেন। এখন তাঁর দুই সন্তান ও স্ত্রী ভবনসহ জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় তালা লাগিয়ে দিয়েছি। ভবনসহ জমি লিখে না দেওয়া পর্যন্ত তালা লাগানো থাকবে। কারো কথায় খুলবো না।