এস এম হোসেন বাবলা ছোট পর্দায় একসাথে একজন অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের সামনে কম আসলেও সৃজনশীলতা ও নিজ মেধার মননে নিজেকে ইন্ডাষ্ট্রিতে একজন সফল পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজের দীর্ঘতম ক্যারিয়ারে একের পর এক পরিচালনা ও প্রযোজনায় নিয়মিত থাকলেও সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন এই মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সিনিয়র সাংবাদিক। তবে এবার বিরতি ভেঙ্গে আবারো প্রযোজনায় এস এম হোসেন বাবলা। তবে ছোট খাট কোন নির্মাণ নয়, হাজির হচ্ছেন ৩০০ পর্বের মেগা ধারাবহিক নিয়ে । মফস্বলের একটি অঞ্চলের মহাপন্ডিতের গল্পে এই মেগা ধারাবাহিকটি নির্মাণ হচ্ছে।
জেরিন মিডিয়ার প্রযোজনায় মেগা ধারবাহিকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন আলী সুজন। হাস্যরসে ভরপুর এই মেগা ধারাবহিকে অভিনয় করছেন এস এম কামরুল বাহার, সাব্বির আহমেদ (ছোট সাব্বির), তাসনোভা নিঝুম, আব্দুল আজিজ, জিল্লুর রহমান, আফসানা নুপুর, আবির খান, হায়দার আলী, ইলিয়াস কাঞ্চন, তন্ময় সোহেল, কাজল সুবর্ণ, তুষার মাহমুদ, তানিয়া ইসলাম রিতু, জিদান সরকার, ইসরাত জাহান চৈতি, লিটন খন্দকার, প্রিয়া মণি, দীপক কর্মকার, হাসি আক্তার, রিতু রহমান, সাজ্জাদ, স্বপন, ইরা, অধরা প্রিয়া, উত্তম অধিকার, আইরিন অধিকারী, তাপস সরকার প্রমুখ।
নির্মাতা আলী সুজন বলেন, ‘মহাপন্ডিত’ মেগা ধারাবাহিকটি দীর্ঘ ভাবনার ফলপ্রসু বলা যায়। মফস্বলের মহাপন্ডিতদের গল্প অবলম্বনে এই ধারাবাহিকটি নির্মাণ করা হয়েছে। আর এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আমি আশাবাদী।
অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও সিনিয়র সাংবাদিক এস এম হোসেন বাবলা বলেন, ‘মহাপন্ডিত’ একটি অসাধারণ ধারাবহিক এটা বলাবাহুল্য। দর্শকদের চাহিদা আমি বুঝি। আমি কখনো গড়পড়তা কাজ পছন্দ করিনা এবং করিওনি। আর ‘মহাপন্ডিত’ মেগা ধারাবহিকটি দর্শকদের চাহিদা বুঝেই নির্মাণ করা হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে দর্শকদের পছন্দ বা রুচির পরিবর্তন হয়েছে। আর নির্মাণ হওয়া উচিত দর্শকদের রুচি বুঝেই। ‘মহাপন্ডিত’ এমন একটি নির্মাণ যেখানে হাস্যরসের পাশাপাশি রয়েছে শিক্ষা। আমি সাধারণ দর্শকের কাতারে গিয়ে যদি বলি তবে দর্শক পছন্দের তালিকায় থাকবে।
বিরতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে বিরতি বলতে আমি কাজ থেকে সরে দাড়ায়নি। অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছি। তবে নাটক নির্মাণটা করা হয়নি নিজের ব্যক্তিগত ব্যস্ততা ও ভাল গল্পের কারণে। ভাল গল্প পাওয়ার পর এই মেগা ধারবাহিকের কাজ শুরু করেছি।
উল্লেখ্য, মেগা ধারাবহিকটি রাজধানীসহ পূবাইলের বিভিন্ন মনোরম পরিবেশে দৃশ্যায়ন হয়েছে। খুব দ্রুত মেগা ধারাবাহিকটি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও পরবর্তীতে ইউটিউবে প্রচার হবে।