মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
কচুয়ায় তালা মার্কা ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিক রাকিবুল হাসান শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার রংপুরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে পৃথক পৃথক মেয়াদে কারাদন্ড পড়াশোনা এবং নির্মাণে উচ্চ ডিগ্রী নিতে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যান্থনি পাঁচবিবিতে আলোচনার শীর্ষে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাজিনারা টুনি সীতাকুণ্ডে লোকালয় থেকে ব্রিটিশ আমলের গ্রেনেড উদ্ধার নতুন সিনেমায় সোহেল মন্ডল-আইশা খান শুক্রবার সারাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘সুস্বাগতম’ দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে ২ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার পাঁচবিবিতে কৃষি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত খুলনার দাকোপের বাজুয়া চুনকুড়ি দাসপাড়ায় পরকিয়ার জের ধরে গৃহবধুর আত্নহত্যার ঘটনার ভিন্ন মত পোষন করেছে শংকর দাস কচুয়ায় তালা মার্কা ভোট চেয়ে বিরামহীন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিক রাকিবুল হাসান পাঁচবিবিতে উপজেলা নির্বাচনে প্রচারে অংশ নেয়ায় বিএনপির ২ নেতাকে অব্যাহতি দেশে ১১০টি প্রতিবন্ধী সহায়তা সেবা কেন্দ্র রয়েছে: রংপুরে দীপু মনি কালীগঞ্জে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

বাউফলে গাইবী বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে গ্রাহকরা-DBO-news

কহিনুর বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। / ১৪৭ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩, ৯:৪৫ অপরাহ্ণ

 

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের দেয়া    গাইবী  বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়ছেন গ্রাহকরা।

বিদ্যুৎ বিলের কাগজে উল্লেখিত মিটার রিডিংয়ের সাথে প্রকৃতভাবে ব্যবহার করা মিটার রিডিংয়ের কোন মিল নেই। ফলে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। এ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফিরোজ গাজী বলেন, ০৭.০৬.২৩ইং তারিখ রোজ বুধবার সকালে আমার কাছে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ নিয়ে আসেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী মাসুম। এ সময় অতিরিক্ত বিলের বিষয়টি আমার নজরে আসে। আমার ছোট একটা মাছের আড়ৎ আছে, সেটা মাসের অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকে। তাই বৈদ্যুতিক ফ্যান ও বাতি জ্বালানোর প্রয়োজন হয় না। বিলের কাগজ হাতে পেয়ে মিটার রিডিংয়ের সাথে বিলের কাগজের ৩০ ইউনিট ব্যবধান দেখতে পাই।

একই অভিযোগ ওই ওয়ার্ডের মুছা ব্যাপারীরও। তিনি বলেন, আমার বিদ্যুৎ বিলের কাগজে লেখা শুন্য ইউনিট। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৩৭৮ টাকা। এটা একটা অসাধু চক্রের কাজ হতে পারে বলে আমি মনে করি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরওয়াডল গ্রামের আল আমিন বেপারী, নিজাম চৌকিদার, মোসলেম সিকদার, জামাল বেপারী, সবুজ জোমাদ্দার ও খোকন ফরাজীসহ শতাধিক গ্রাহকের মিটার রিডিংয়ে গড়মিল রয়েছে।

তারা আক্ষেপ করে বলেন, আমরা ছোট একটি দ্বীপে খেটে খাওয়া গরীব মানুষ। লেখাপড়া জানিনা বিধায় আমাদেরকে ধোকা দিয়ে এভাবে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যাবে এমনটা কখনো ভাবিনি। দিন এবং রাতের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকেনা। প্রচন্ড তাপমাত্রা সহ্য করে অন্ধকারেই কাটাই আমরা। তারপরও এত টাকা বিল আসে কিভাবে?

দক্ষিণ চরওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের এমন অনিয়মের কারণ অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে কয়েক’শ পরিবারের। তিনি আরো বলেন, যখন দ্বীপে বিদ্যুৎ ছিলনা তখন আমরা ভালোই ছিলাম। দিনের অধিকাংশ সময়ই-তো বিদ্যুৎ থাকেনা, এখন বিদ্যুতের কারণে অনেকেই ফ্রিজ ব্যবহার করছেন। লোডশেডিংতো ঠিকই হচ্ছে তাহলে এতো বিল কিভাবে আসছে।

অফিস সহকারী মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমার কাজ চন্দ্রদ্বীপ এরিয়াতে মিটার রিডিং নেয়া এবং বাউফল অফিস থেকে বিল কাগজ প্রস্তুত হলে সেগুলাকে এনে প্রতিটি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমি মিটার রিডিং দেখে সঠিক তথ্য অফিসে জমা দেই, বাকিটা অফিসের কাজ।

বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম প্রকৌশলী গগণ সাহা বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অনেক মিটার শুন্য অবস্থায় থাকে সেক্ষেত্রে নতুন মিটার প্রয়োজন। আমাদের কাছে মিটার নেই, থাকলে পরিবর্তন করে দিতাম, আমাদের কাছে কোনো মিটার নেই, যে কারণে ইচ্ছে থাকলেও পরিবর্তন করত পারছি না, তাই পরিবর্তন না করে প্রাক্কলোন বিল করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একটু ত্রুটি হতে পারে।

 


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!