কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে বলে আমার গেছে।
গত শুক্রবার (২ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের বাগপাড়া গ্রামে এ হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটসহ মারধরের ঘটনা ঘটে।
কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বাগপাড়া গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর পুত্র মো. বাবুল মিয়া (৫০) ও ছানু মিয়ার স্ত্রী শাহানাজ ৩ জুন শনিবার দুপুরে এ প্রতিনিধির নিকট অভিযোগ করে বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাদের প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত বিছু মিয়ার ছেলে মিজান (৩৫) এর নেতৃত্বে স্বপন (২৫), বোরহান (২৫), কামাল (৩৫), শহীন (৩০), তুহিন (২০), সুজন (২০) ও মুর্শিদ (৫০) সহ অর্ধশতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রাধী নিয়ে তাদের বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া তাদের তৈরিকৃত নতুন একটি ঘর ভাংচুর করে ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় বাঁধা নিষেধ দিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের নির্মমভাবে মারধোর করে রক্তাক্ত যখম করে। প্রতিপক্ষের হামলায় বাবুল মিয়া (৫০) ও শাহানাজ (৩৫) সহ বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা (৪০), ভাগিনা অন্তত (১৪) আহত হয়। এসময় প্রতিপক্ষের মিজান মিয়া (৪৫) ও আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আহত বাবুল মিয়ার মা কার্তিকা বানু বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মিজান মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ প্রতিনিধির সাথে বলেন, তিনি একা মানুষ। তাই তার প্রতিপক্ষের লোকজন তার জায়গা জোরজবর দখল করে একটি ঘর নির্মাণ করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে মারধোর করে। তিনি কিংবা তার কোন লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িতে গিয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট কিংবা কাউকে মারধোর করেনি। তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবী করেন মিজান।
এব্যাপারে শনিবার বিকাল ৬টার দিকে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।