মতলব প্রতিনিধি : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের কলাকান্দা গ্রামের একই পরিবারে ৩ জনের মধ্যে বাবা কর্মহীন ও দুই সন্তান স্কুলে লেখাপড়া করছেন। বাবা ৬০ বছরের বৃদ্ধ এবিএম শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন রোগে শোকে আক্রান্ত তার দুই সন্তান বড় ছেলে মোঃ সাজিদ(১৪) হোসনে জাহান হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র এবং ছোট ছেলে মো: সেমিম (১০) ছেংগারচর বাজারের একটি হাফেজী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছে, তাদেরকে নিয়ে বয়সের ভারে নূজ্য শফিকুল ইসলাম দুই সন্তানকে নিয়ে নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত অভাব অনটনে মধ্যে বসবাস করা পরিবারটি মতলব উত্তরে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে ২০০/৩০০ টাকার ভাড়ায় বসবাস করতেন, পরিবারটির নিজের ৩ শতাংশ জায়গা থাকলেও অর্থ অভাবে একটি ঘর তুলতে পারছিলেন না, বর্তমানে জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায়, পড়ে থাকলে সেখানে বর্তমানে একমাস যাবত খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সরজমিনে পরিবারটির সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, দীর্ঘদিন যাবত পরিবারটির মাথা গোঁজার জন্য একটি ঘরের জন্য সমাজের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও মানুষের কাছে ধর্না দিয়েও কাজ হয়নি,
সরজমিনে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় যে শফিকুল ইসলাম তার পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়ে আছেন নেই কোন মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, নেই কোন খাবারের ব্যবস্থা, পাড়া প্রতিবেশীর দেওয়া খাবার খেয়ে কোন রকমে বেঁচে আছে। অসহায় শফিকুল ইসলাম দুই সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়।
তার মধ্যেও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, ঝড় বৃষ্টি তুফানে বাড়িতে পার্শ্ববর্তী চাচাতো ভাইয়ের পরিতক্ত খোলা ঘরে আশ্রয় নেন, ঝড়, বৃষ্টি, তুফান শেষ হলে আবার দুটি সন্তান নিয়ে আলোবিহীন খোলা আকাশের নিচে টচ লাইটের আলোতে রাতের খাবার বাজার থেকে আনা পুরি ও রুটি খেয়ে দিন যাপন করছেন।
ঘটনার বিবরণে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, শফিক দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মহীন অবস্থায় আছেন, তাই তারা সংসারে অভাব অনটন নিত্য প্রতিদিন থাকে, এ অভাব অনটন দেখে তার ২০ বছরের সংসার করা বিবাহিতা স্ত্রী শারমিন (৩৮)
৪ মাস আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছেন, স্ত্রী চলে যাওয়ার পর তিনি অনেকটা মানসিক চাপে ভেঙ্গে পড়েছেন, বর্তমানে আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতা নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দুর্বিষহ ভাবে মানবতার জীবন যাপন করছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন তার দুই সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য ও মাথা গোজার ঠাঁই হিসাবে একটি ঘর ও দু সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকতে প্রধানমন্ত্রী সহ ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।