সাভার পৌরসভার ভাগলপুরের একটি সড়কে ভারী ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ভাগলপুর সিরামিক বাজার থেকে বালুঘাট পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়কটি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার অন্যতম ব্যস্ততম এলাকার সড়কটিতে দিনভর চলাচল করে বালুবাহী কয়েকশ বড় ট্রাক। এসব ভারী ট্রাকের কারণে সড়কটি প্রায় সারা বছর জুড়েই কাঁদায় পরিপূর্ণ থাকে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভাকে হাত করে এসব ট্রাক পরিচালনা করা হয়। ট্রাকের কারণে সড়কটি সবসময়ই চলার অনুপযোগী থাকে। হাঁটাচলা করা যায় না। মোটরসাইকেল, অটোরিকশা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। তবে পৌরসভা কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়ক সংস্কারে কোনো কাজই করছে না।
স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিথিলা আক্তার বৃষ্টি বলেন, “সড়কে চলা যায় না। সারাবছর ট্রাক চলে তাই কাঁদা জমে থাকে। গাড়ি চললে দুই পাশে কাঁদা ছিটে আসে। অনেকে পিচ্ছিলে পড়ে যায়, ব্যথা পায়। আর বৃষ্টি হলে তো এখানে নদী তৈরি হয়ে যায়। সড়কটি দ্রুত ঠিক করার দাবি জানাই।”
ভাগলপুরের বাসিন্দা রোকেয়া আক্তার নামে বলেন, “বৃষ্টি হলে বাসা থেকে বের হতে পারি না। বাসা ভাড়া দিতে পারি না। বাসার রুম খালি থাকে প্রতিমাসে। সড়ক খারাপ দেখে ভাড়াটিয়া আসে না। একটা বৃদ্ধ বা গর্ভবতী হলে এই সড়কে বের করতে ভয় পাই। মেয়র কমিশনারকে জানালে তারা সময় নেয়। বলে ফান্ডে টাকা নাই এখন। টাকা এলেই করে দেবো। এমনকি এই সড়ক ঠিক করার জন্য আমরা মানববন্ধনও করেছি।”
আজিজুল হক নামে এক অটোরিকশা চালক বলেন, “পানি জমলে সেটা রিকশার ওপরে উঠে আসে। রিকশা উল্টে যায়। মূলত ট্রাকের কারণে এই সড়কের এই খারাপ অবস্থা।”
সাভার পৌরসভার ছয় নং ওয়ার্ডের কমিশনার আলহাজ্ব আব্দুস ছাত্তার বলেন, “রাস্তার বিষয়ে পৌরসভার সভায় প্রস্তাব দিয়েছি। ওইটা দ্রুত ঠিক করা হবে।”
সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইমাম বলেন, “সড়কটি নষ্ট হওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। এটার জন্য ঢাকায় একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।”
সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গণি বলেন, “সড়কটির কথা আমিও জানি। ওইটার অবস্থা খারাপ। সড়কটি ঠিক করতে চার কোটি টাকা লাগবে। এজন্য একটি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই আমরা কাজ শুরু করতে পারবো। আশা করি দ্রুতই তহবিল পেয়ে যাবো।”