ফরিদপুরে দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিরোধিতা করায় পিতা হাফেজ আবুল বাশারকে (৬০) গলা কেটে হত্যার দায়ে ছোট মেয়ে নিলুফা আক্তার (৩২)কে ফাঁসি, স্ত্রী সাহিদা পারভীন (৫৮) ও বড় মেয়ে হাফিজা বেগমকে (৪২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ফরিদপুর জজ কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।
জানা যায়, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার খোয়াড় গ্রামের মৃত হাফেজ আবুল বাশার তার প্রথম স্ত্রী সাহিদা পারভীনের সঙ্গে ফরিদপুর শহরের আলীপুরের প্রামাণিক পাড়ায় ভাড়া থাকতেন।পরবর্তীতে আবুল বাশার দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।অতপর আবুল বাশার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি সালথায় বসবাস করতেন ও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন। ঘটনার দিন ২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আবুল বাশার তার প্রথম স্ত্রীর সাহিদার আলীপুরের বাসায় আসলে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬:৩০ ঘটিকার সময় স্ত্রী সাহিদা পারভীন, বড় মেয়ে হাফিজা বেগম ও ছোট মেয়ে নিলুফা আক্তারের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আবুল বাশারকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ দিয়ে নিস্তেজ করে কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং পরবর্তীতে বটি দিয়ে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এ সংক্রান্তে আবুল বাশারের ভাই লোকমান ফকির ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন