কাউন্সিলর রাহিমা ও প্রবাসীর স্ত্রীর ঘটনার অন্তরালের খবর বেরিয়ে এসেছে। সালিসি বৈঠকে ডেকে নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন বেগমের উপর হামলার অভিযোগ সত্য নয়। বরং প্রবাসীর স্ত্রী সালিশ বৈঠকে বয়স্ক হিন্দু মহিলার কাছে মাফ চাওয়ায় তার মাননসম্মানে লাগে। যার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছুক্ষন পর পারভীন বেগম লোকজন নিয়ে হিন্দু বাড়িতে যায়। কাউকে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী কাসেমের নবনির্মিত একতলা ভবনে কাউন্সিলর রাহিমার উপর চওড়া হয়। এই ভবনের ভিতর কাউন্সিলর রাহিমা ও প্রবাসীর স্ত্রী হামলার স্বিকার হওয়ার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
সরজমিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৫/২০ দিন আগে লক্ষ্মীপুর পৌরভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার আনন্দ পাল বাড়ির বয়স্ক মিরা পালের (৮০) বসত ঘরের পাশে তাদের ধান ক্ষেতে গরু দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করে। শোরগোল শুনে ক্ষেতের পার্শ্ববর্ডী ঘর থেকে প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন বেগম এগিয়ে এসে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে পারভীন বেগম বয়স্ক মিরা পালেকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় অন্য এক মহিলা এসে মিরা পালকে মাটি থেকে তোলেন। কিছুক্ষন পর সবাই চলে যায়। মিরা পাল এঘটনা বাড়ির কাউকে কিছু বলে নাই। ১৫/২০ দিন পর মেয়ে(৫০) শশুর বাড়ি থেকে আসলে তাকে ঘটনার কথা জানায়। সাথে সাথে মেয়ে পারভীনের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাস করে কেন সে তার মাকে ধাক্কা দিল। আর ধাক্কা দেওয়ার পর মাফ চাইলনা কেন। কোন সদোউত্তর না পেয়ে মেয়ে কাউন্সিলর রাহিমাকে বিষয়টি জানায়। ঐ দিন পড়ন্ত বিকালে কাউন্সিলর রাহিমা পাল বাড়ির সামনে রাস্তার উপর প্রবাসীর স্ত্রী পারভীনকে খবর দেয়। মিরা পাল তার মেয়েসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিল। এসময় কাউম্সিলর রাহিমা উপস্থিত লোকজনের সামনে পারভীনকে বলে, মিরা পালেরমত বয়স্ক মহিলাকে ধাক্কা দেওয়া তার উচিত হইছে কিনা? যদি উচিত না হয় তাহলে সে যেন মাফ চায়। এরপর পারভীন বেগম নিজের অনিচ্ছাকৃত ভুল বুঝতে পেরে মিরা পালের কাছে মাফ চায় এবং মিরা পালও তাকে জড়িয়ে ধরে মিলমিশ করে নেয়।
এরপরই ঘটে মূল ঘটনা। প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন বাড়িতে গিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকে আমাকে হিন্দু মহিলার কাছে মাফ চাইতে হইল, এই জিবন থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল। মায়ের আর্তনাতে ছেলে আকাশ ক্ষিপ্ত হয়ে ৩/৪ জনসহ লাঠি ব্যাট নিয়ে পালের বাড়িতে মিরা পালের ছেলে হৃদয়কে খোঁজ করে। এসময় হৃদয় বাড়িতে ছিল না। হৃদয়কে না পেয়ে তারা কাউন্সিলর রাহিমার নাম ধরে গালাগাল দিতে থাকে। শোরগোল শুনে রাহিমা এগিয়ে আসে। এবং সবাইকে নিয়ে (পারভীন বেগম, তার ছেলে আকাশ, আকাশের দুই বন্ধু, মিরা পাল, ছেলে হৃদয় পাল ও কাউন্সিলর শাহী) কাসেমের একতলা বিল্ডিং গিয়ে বসে। এর কিছুক্ষন পরই রুমের ভিতর চিৎকার চেঁচামেছি শুরু হয়। ঘরের মালিক কাসেমের স্ত্রী জানান, ঘরে আসার কিছুক্ষন পর ঝগড়া ঝাটির এক পর্যায়ে পারভীনের লোকজন কাউন্সিলর রাহিমার উপর হামলা চালায়। ভিতরে মারামারি দেখে ভয়ে রুমের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষন পর রাহিমার স্বামী মো: বাবর আসেন। পরে পুলিশ এসে পারভীনের ছেলেসহ তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়। পরক্ষনে গুরুত্বর আহতাবস্থায় কাউন্সিলর রাহিমা ও প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন গুরুত্বর আহতাবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এলাকাবাসী জানায়, মিলমিশ করে দেওয়ার কিছুক্ষন পরই প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন লোকজন নিয়ে পাল বাড়ির হৃদয় পালকে খোঁজ করে। এসময় কাউন্সিলর রাহিমাকে গালমন্দ করতে থাকে। প্রতিবাদ করায় রাহিমার উপর হামলা করে।