মণিরামপুর(যশোর) অফিস।। জন্ম যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের জামলা গ্রামে। শৈশব কেটেছে গ্রাম ও শহরের মাঝে। স্কুলের গণ্ডি না পেরুতেই জড়িয়ে পড়েন ছাত্রদলের রাজনীতিতে, দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীন সময়ে শ্যামকুড়ের কৃতি সন্তান মরহুম জননেতা মশিউর রহমান তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে তাকে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মনোনীত এবং নির্বাচিত করেন। দীর্ঘ ১১বছর পর পর তিন বার কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হন ছাত্রদলের সভাপতি। এরপর ১৯৯৮ সালে থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত থাকেন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তীতে দীর্ঘ ১৮ বছর মণিরামপুর উপজেলা যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, ছিলেন যশোর জেলা যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ পদেও। সর্বশেষ মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সংগ্রামী যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি শেষ করেছেন লেখাপড়া, অর্জন করেছেন সর্ব উচ্চ ডিগ্রি। করেছেন আইন বিষয়ক ডিগ্রি এল.এল.বি। রাজনীতি না করে সে চাইলেই কোন সরকারী-বেসরকারী চাকরি করে পরিবার পরিজন নিয়ে আর দশটা মানুষের মত ঝামেলা মুক্ত জীবন গড়ে তুলতে পারতেন, হতে পারতেন আইনজীবীদের একজন। আবার রাজনীতিকে পুঁজি করে অনেক অসৎ ইনকাম ও করতে পারতেন। অর্থ উপার্জনের জন্য ঢাকাতে একটা সফল ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ শুরু করলেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অসুবিধা হবে ভেবে সেটা ছেড়ে দিয়েছেন। আমি জানতে চাইলে বলেছেন ঢাকা থেকে এলাকার নির্যাতিত নেতা কর্মীদের খোঁজ খবর নেওয়া কষ্ট হচ্ছে। আসলে আজব এক নেশা, যে নেশা সকল নেশা কে হার মানায়। মানুষ চাইলেই সকল নেশা পরিত্যাগ করতে পারে কিন্তু রাজনীতি নামক নেশা থেকে ফিরতে পারে না। এ যেন রক্তের প্রতিটি কনায় মিশে সঞ্চারিত হয় দেহের প্রতিটি অংশে। এখানে রয়েছে লক্ষ কোটি মানুষের সুখ দুঃখ ভাগাভাগির সম্পর্ক। রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও অচেনা-অজানা মানুষ গুলো হয়ে উঠে সবথেকে আপনজন। এ সেই গুরু যে কোন শিষ্যের ক্ষতি করেছে কিনা আমার জানা নেই। তবে আমি জানি যখন আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কোন কর্ম সূচিতে বাঁধা আসে তখন ই প্রয়োজন হয় গুরুর। যখনি পুলিশি বাধায় মাঝপথে থেমে যায় কোন বিক্ষোভ মিছিল তখনই বাঁধা ঠেলে সামনে আগাতে প্রয়োজন হয় আসাদুজ্জামান মিন্টুর। যখন আওয়ামী লীগের ভয়ে কোন নির্বাচনী এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায় না তখন নাম আসে মিন্টুর। করোনা কালে যখন পুরো বিশ্ব মুখ থুবড়ে পড়ে, কেউই ঘর থেকে বের হতে চাইনা তখন আমাদের গুরু খ্যাত মিন্টু বুক উঁচু করে ছুটে যায় আক্রান্ত মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। নিজে ডাক্তার না হয়েও পৌঁছে দেয় ডাক্তারী সেবা। অনেক নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় তাকে মানুষের দোরগোড়ায় অক্সিজেন সেবা পৌঁছাতে। আমার দেখা মিন্টু মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সকল কর্মি সমার্থকদের প্রানের নেতা। আজ মিন্টুর মত নেতা আছে বলে মণিরামপুরের ছাত্রদল, যুবদল, বিএনপির কর্মীরা সাহস পায় আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। তাই প্রত্যেক তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মিদের সহায়তায় প্রিয় নেতা তার যোগ্য স্থান পাবে এটায় সর্বসাধারণের প্রত্যাশা।