প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলামের দাফন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পন্ন হয়েছে। খবর বাপসনিউজ।স্থানীয় সময় বুধবার ওয়াশিংটনে মেরিল্যান্ডের রিভার রোডের ইসলামিক কমিউনিটি সেন্টারের মসজিদে তার জানাজায় ছেলে নাঈম ইসলামসহ পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদ, জাতিসংঘের উন্নয়ন-গবেষণা টিমের প্রধান নজরুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও লেখক আব্দুন নূর, লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আহমেদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুক, বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা সিদ্দিক, বিএএআই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট আবু সোলায়মান, কম্যুনিটি লিডার ওয়াহেদ হোসেনি, মিজানুর রহমান, সোয়েব চৌধুরী, ওয়াশিংটনের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব আমেরিকার অধ্যাপক আদনান মোর্শেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল বাহার চৌধুরী, মাসুমা খাতুন, ওয়ালি ফাহমি, মহসিন সিদ্দিকী, হাসান ইমামসহ অনেকে নুরুল ইসলামের জানাজায় অংশ নেন।
জানাজার পর আডেলফির রিগস রোডে জর্জ ওয়াশিংটন সিমেট্রিতে প্রখ্যাত এই অর্থনীতিবিদকে সমাহিত করা হয়।
এরপর সবাই তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়ায় অংশ নেন।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম (৯৪) মারা যান।
মৃত্যুর আগপর্যন্ত খাদ্য নীতিবিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ইফপ্রি) ইমেরিটাস ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৮৭ সালে তিনি সংস্থাটির মহাপরিচালকের জ্যেষ্ঠ নীতি পরামর্শক হিসেবে যোগ দেন।
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলামের নাম নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। স্বাধীনতার আগে ছয় দফা ও ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম পরামর্শদাতা। স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম।