আমিষ নিরামিষ
“””””””””””””””””””””””””””””””””
প্রিয় গুণাতীত বন্ধুগণ,
আজ আমি আমিষ ও নিরামিষ নিয়ে আলোচনা করবো। আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি প্রতি নর-নারীর উপকারে আসে তবেই আমার লেখাতে আসবে পরম স্বার্থকতা। উক্ত আলোচনায় আমি শাস্ত্র ও বিজ্ঞান দিয়ে আলোচনার যৌক্তিকতা তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করে যাবো। আশাকরি আজকের আলোচনা সকল বন্ধুদের জন্যই শুভ ফল বয়ে আনবে।আরো কল্যাণকর লেখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু লেখাটা দীর্ঘ হয়ে যাওয়ায় এখানেই বিরতি নিলাম।অনিচ্ছা কৃত দীর্ঘ লেখার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। তাহলে এবার মূল আলোচনায় আসা যাক।
১।আমিষ /বিশেষ্য পদ/ মাংস, মৎস্য-মাংস-ডিম্ব জাতীয় খাদ্য। /আ+মিষ্+অ/।
২।নিরামিষ /বিশেষণ পদ/ মৎস্যমাংসাদি অর্থাৎ আমিষ রহিত।
তাহলে দুটো শব্দের অর্থের মাঝে বুঝতে পারলাম যে আমিষ আর নিরামিষ কি জিনিস।
*জীবের লক্ষ্য কি?
উত্তর-
প্রথমতঃ জীবের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য গ্রহণ করা এবং দ্বীতিয়তঃ বংশ গতিকে তরান্বিত করা।
বংশের মান-
বংশকে টিকিয়ে রাখার জন্য
সৃষ্টিকে অক্ষুণ্ণ রাখা এবং বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য গ্রহণ করা,এই দুটোই হলো জীবের মূল লক্ষ্য।বাকী সব পরের বিষয়। জ্ঞানের বিষয় হলো যে- বংশ বৃদ্ধি না হলে জীবের অস্তিত্ব বিনষ্ট হয়ে যাবে চিরতরে। বংশ বৃদ্ধি না হলে ঐ বংশ অচিরেই বিনাশ প্রাপ্ত হয় এবং অনিয়ম জনিত দোষে সঙ্কর উৎপন্ন জনিত কারণে বংশ হয় কলঙ্কিত। সুতরাং,বংশই যদি রক্ষা না পেলো,তবে বাকী সব কাজ করবে কে?
শাস্ত্রে প্রজাপতি ব্রহ্মা বলেছেন- “যে ব্যাক্তি সৃষ্টিকে ব্যাহত করে বা করতে চায়, তাহাকে মহাপাতক বলিয়া জানিবে।এমন ব্যাক্তির বংশ গৌরব অচিরেই পতিত হয় এবং সেই ব্যাক্তিও অনন্তকাল ঘোর নরকে পচিয়া মরে।” আর বৈজ্ঞানিক ভাবেও
বলা হয় যে-বংশের মান যদি ঠিক না রাখা হয়- তবে সেই বংশ সঙ্কর জনিত দোষ প্রাপ্ত হইয়া অচিরে অধঃগতি লাভ করে এবং বংশের যদি ক্রম বিকাশ করা না হয় তবে,সেই বংশ লঘুতে পরিনত হইয়া নির্বংশ রূপ ধারণ করে।
সুতরাং, আমরা বুঝতেই পারলাম যে- কোন ক্রমেই সৃষ্টিকে বাঁধা গ্রস্থ করা যাবে না।
জীবের জীবনী শক্তি-
খাদ্যই হলো জীবের জীবনী শক্তি।
অর্থাৎ যাহা জীবকে বাঁচিয়ে রাখে এবং যাহা দ্বারা জীবের এমন এমন কিছু হরমোন তৈরী করে- পুরুষের পৌরুষ এবং নারীর নারীত্বকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
*মানব দেহকে বাঁচিয়ে রাখতে - বিশেষ কয়েকটি খাদ্য উপদানের একান্ত প্রয়োজন রহিয়াছে। যেমন-
১। আমিষ,২।শর্করা,৩। চর্বি বা স্নেহ জাতীয়,৪।ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ,৫। খনিজ লবন ও ৬। পানি।
এবার আসি আমি মূল কথায়-
সুস্থ থাকার প্রধান বিষয় হলো সুষম খাবার।
**সুষম খাবার কাহাকে বলে?
উত্তর হলো- খাবারে -১ আমিষ, ২.শর্করা,৩.চর্বি,৪. ভিটামিন,৫.পানি ও ৬.খনিজ লবণ পরিমাণমতো থাকলে সেই খাবারকে সুষম খাবার বলা হয়। খাবার শুধু সুষম হলেই চলবে না, খেতে হবে সময় মতও।
*দৈনিক পুষ্টি চাহিদা অনুযায়ী কতটুকু খাবার প্রয়োজন:-
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ২৭০ থেকে ৪৫০ গ্রাম চাল, আটা, ভুট্টা গ্রহণ করা উচিত। এর সাথে ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম শাকসবজি এবং ১৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম মাছ, মাংস, ডিম খেতে হবে। এ ছাড়া সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিলি তেল ও চর্বি এবং ৩০ থেকে ৬০ গ্রাম ডাল জাতীয় খাদ্য খেতে হবে।
নারী ও পুরুষের গুরুত্বপূর্ণ হরমোন-
যার মাত্রা কমে গেলে পুরুষের আর পুরুষত্ব থাকে না এবং নারীর নারিত্ব থাকে না।সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
পৌরষত্ব-
*টেস্টোস্টরণ হরমোন-
পুরুষত্বের জন্য দায়ী মূল হরমোন হচ্ছে টেস্টোস্টেরন। পুরুষদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমতে থাকে। টেস্টোস্টেরন শরীরে কমে যাওয়ার কারণে অ্যান্ড্রোপজ হয়। টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাবে পুরুষের যৌন চাহিদা, মানসিক শক্তি ইত্যাদি ক্রমশ পরিবর্তিত হতে থাকে। গড়ে ৩০ বছর বয়স হওয়ার পরে এর মাত্রা প্রতিবছর ১% করে কমতে থাকে। সাধারণত ৭০ বছর বয়স্ক পুরুষের শরীরে এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক কমে যায়। কারও কারও এ মাত্রা আরও কমে যেতে পারে।
টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে বিভিন্ন রকম লক্ষণ উপসর্গ দেখা যায়। পুরুষের স্বাভাবিক যৌনাচরণের পরিবর্তন হয়। অনেকের অণ্ডকোষ দুটি আকারে-আকৃতিতে ছোট হয়ে যায় এবং যৌন দুর্বলতা দেখা দেয়।
মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়। কর্মস্পৃহা অনেক কমে যায়। কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি অনেকে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। যৌবনের যে উৎসাহ-উদ্দীপনা, মনের জোর, সব জয় করার এক উদগ্র বাসনা। কিন্তু টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমার ফলে তা কোথায় যেন উড়ে যায়। অনেকে কোনো কাজে একভাবে মনঃসংযোগ করতে পারেন না, স্মৃতিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসে; এমনকি অনেকে বিভিন্ন মাত্রার বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন। ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের পাশাপাশি কামবাসনা কমে যাওয়া, লিঙ্গোত্থানে সমস্যা, খারাপ মেজাজসহ মনোযোগের অভাব দেখা দেয়।
বাবা হতে চাইলে করনীয়-
যারা বাবা হতে চাইছেন তাদের জন্য আদা, রসুন ও প্রোটিন একটি আদর্শ খাবার। রসুনে আছে সেলেনিয়াম নামক একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা স্পার্মের সক্রিয়তা বাড়ায়। এছাড়াও রসুনে আরো আছে আলিকিন যা যৌনাঙ্গের রক্তচলাচল বৃদ্ধি করে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে এবং স্পার্মের পরিমাণ বাড়ায়। রসুনের মত আদাও পুরুষের উর্বরতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। নারীরা অধিক উপকারিতা পেতে রোজ দুই কাপ পর্যন্ত আদা চা পান করুন মধু মিশিয়ে।
*নারীত্ব-
ডিম্বাশয় ডিম্বাণু উৎপাদনকারী একটি প্রজনন অঙ্গ এবং স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রের একটি অংশ। মেরুদণ্ডী প্রাণীতে এটি সাধারণত একজোড়া করে থাকে। ডিম্বাশয় পুরুষের শুক্রাশয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এতে গোনাড ও অন্তঃক্ষরা উভয় প্রকার গ্রন্থি-ই রয়েছে।
প্রজেস্টোরন –
*প্রোজেস্টেরন হচ্ছে এমন এক ধরনের যৌন (সেক্স) হরমোন যা রজঃচক্র,গর্ভধারণ ও ভ্রূুণীয় বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রাসায়নিক দিক থেকে এটি প্রোইস্টোজেন গ্রুপের এক ধরনের স্টেরয়েড হরমোন যা অন্যান্য যৌন হরমোন উৎপাদনের প্রক্রিয়ায়ও জাতক হিসেবে উৎপন্ন হয় এবং মস্তিষ্কেও নিউরোস্টেরয়েড হিসেবে ভূমিকা পালন করে। যদিও দেহেই এটি স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়ে থাকে কিন
কিন্তু ঋতুস্রাব জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসাক্ষেত্রে রাসায়নিকভাবে প্রস্তুতকৃত প্রোজেস্টেরন ব্যবহার করা হয় যার সূচনা হয়েছিল ১৯৫৪ সালে।
১২টি খাবার গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায় তার মধ্যে আমি কয়েকটি খাবারের কথা তুলে ধরব।
ইদানিং অনেক দম্পতির ধর্মীয় গোঁড়ামী ও চাকুরীর আশায় ও বিভিন্ন কারণেই বিবাহে দেরি করেন।, যার জন্য বাচ্চা হতে দেরি বা সমস্যা দেখা যায়। দেরিতে বিয়ে, ব্যস্ত জীবন, দূষণ, বাজে লাইফস্টাইল ও খাবার ইত্যাদি কারণে আমাদের প্রজনন সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
সন্তান নেয়ার কথা ভাবছেন এমন নারীদের অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত। এমন কিছু খাদ্য রয়েছে যা আপনাদের (স্বামী-স্ত্রী) দেহের শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর পর্যাপ্ত উৎপাদন ও চলাচলের পরিবেশ সৃষ্টির করা এবং দেহের বিভিন্ন হরমোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। চলুন এগুলো জেনে নেয়া যাক আজই
(১) উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বা আমিষ: যেসব ফলমূল বা সবজিতে প্রোটিন রয়েছে সেগুলো উর্বরতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গাঢ় সবুজ পাতার সবজিতে রয়েছে আয়রন, ফলিক এসিড, বি১২, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-ই। রঙিন সবজিতে রয়েছে ভিটামিন-সি ও বি৬। পুরুষ ও নারীর উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য এগুলো সালাদ হিসেবে কিংবা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডাল ও বীজ। এগুলো উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
(২) প্রাণিজ প্রোটিন বা আমিষ: গর্ভ ধারণের বা উর্বরতা বাড়ানোর জন্য নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় প্রাণিজ প্রোটিন প্রয়োজন। কারণ দেহের হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে এর ভূমিকা রয়েছে। রেড মিট বা স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাংস থেকে পাওয়া প্রোটিন, আয়রন, বি১২ এবং ওমেগা ৩ এ ক্ষেত্রে দেহের চাহিদা মেটাতে পারে। খাদ্য তালিকায় নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় মুরগি, ডিম ও মাছ রেখে এ চাহিদা মেটানো সম্ভব।
(৩) ভিটামিন-ডি যুক্ত খাবার
ভিটামিন ডি-এর অভাবে অনেকেই সন্তান জন্মদানে অক্ষম হয়ে থাকেন। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সন্তান জন্মদানে অক্ষম নারীদের উপর একটি গবেষনা চালিয়ে দেখতে পান যে তাদের মধ্যে মাত্র ৭% নারীর শরীরে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন-ডি আছে। বাকি সবাই কম বেশি ভিটামিন- ডি এর স্বল্পতায় ভুগছে। কাজেই উর্বরতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ ভিটামিনটি পাওয়া যাবে কিছু মাছ, মাংস ও ডিমে। সামান্য মাছ-ভাত-ডিম খেলে আর গায়ে রোদ লাগালে এই ভিটামিন শরীর তৈরি করে নেয়। এজন্য খাবারের পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত দুই দিন আধঘণ্টা করে রোদে হাঁটাই যথেষ্ট। ধূমপান, বেশি ওজন ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রদাহের কারণে রক্তে এই ভিটামিনের মাত্রা কমে যেতে পারে।
ভালো ফল পেতে রসুন কাঁচা খাওয়ার অভ্যেস করুন। ডিমে আছে স্যাচারেইটেড ফ্যাট, ওমেগা থ্রিএস, ভিটামিন ডি, কলেস্টেরল এবং প্রোটিন। টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরির জন্য এই উপাদানগুলো জরুরি। এই ফলের ব্রোমেলেইন এনজাইম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
*দৈনিক পুষ্টি চাহিদা অনুযায়ী কতটুকু খাবার প্রয়োজন:-
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ২৭০ থেকে ৪৫০ গ্রাম চাল, আটা, ভুট্টা গ্রহণ করা উচিত। এর সাথে ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম শাকসবজি এবং ১৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম মাছ, মাংস, ডিম খেতে হবে। এ ছাড়া সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিলি তেল ও চর্বি এবং ৩০ থেকে ৬০ গ্রাম ডাল জাতীয় খাদ্য খেতে হবে।
এবার উপরোক্ত বিষয়ের উপর আলোচনায় আসা যাক।
সনাতন শাস্ত্র মতে-
মানব দেহের তিনটি চালিকা শক্তি রয়েছে তাহা হলো- সত্বঃ,রজঃ ও ত্বমঃ।মানুষ জন্ম কালেই পূর্ব কর্মফল অনুযায়ী এই তিনটি গুণ লাভ করিয়া থাকে। জন্ম কালে যাহা প্রাপ্ত হয়েছে তাহা হ্রাস করা সম্ভব নয়। তবে খাদ্যের নিয়মাবলি দ্বারা তাহা বর্ধিত করা যায়।
তিনটি গুণের গুণাবলি –
*সত্ব গুণ- সত্বগুণ বৃদ্ধি হলে রজঃগুণ ও ত্বম গুণের প্রভাব কমে যায়। ফলে সৃষ্টিতে বাঁধা সৃষ্টি হয়।
রজঃ গুণ- রজঃগুণ বৃদ্ধি পেলে সত্বঃ ও ত্বমঃ গুণের প্রভাব কমে যায়।
ত্বমঃগুণ- ত্বমঃগুণ বৃদ্ধি পেলে সত্বঃগুণ ও রজঃগুণের প্রভাব কমে যায়।
সত্বগুণের ধরণ- সত্বগুণ বৃদ্ধিপেলে ইন্দ্রিয় গুলোর মধ্যে নির্মলতা আসার কারণে সকল প্রকার কামনা বাসনা,যৌন চাহিদা কমে যায় এবং কর্মে স্পৃহা কমে যায়।অর্থাৎ সৃষ্টির কাজ ব্যাহত হয়।
রজোগুণ – রজঃগুণ ব্যাতিত সৃষ্টি হতে পারে না। রজোগুণ বৃদ্ধি পেলে সৃষ্টিও ত্বরান্বিত হয়। এই রজঃগুণের কারণে অহংবোধের উদয় হয়।
আমিষ জাতীয় খাবার রজঃগুণকে
ত্বরান্বিত করে।
ত্বমঃগুণ- ত্বমঃগুণ বৃদ্ধি পেলে হিংসা, ক্রোধ, আসুরিক ভাবের উদয় হয়।
আমিষ ও নিরামিষ
আমিষ বলতে মাছ মাংসাদিকে বুঝায়।
নিরামিষ বলতে আমিষ বর্জিত খাবারকে বুঝায়।
অনেকে উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্যকে নিরামিষ বলে থাকেন।কিন্তু উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্যেও আমিষ বিরাজমান।
সুতরাং উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্যকে নিরামিষ বলা ভুল হবে।
চর্বি-
চর্বি হচ্ছে দেহের খাদ্য।আমাদের সঞ্চিত চর্বি তখই কাজে লাগে যখন আমরা উপবাস থাকি। উপবাসের সময় এই চর্বি আমাদের খাদ্য চাহিদাকে মিটিয়ে থাকে।
উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্যের তুলনায় প্রাণীজ জাতীয় আমিষে চর্বি বেশী থাকে। যার কারণে আমরা যদি পরিশ্রম না করি তবে দেহে চর্বি বৃদ্ধি পেয়ে নানান জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে বিধায় প্রাণীজ আমিষকে নিয়ন্ত্রিত ভাবে খাওয়া উচিৎ।
এই কারণে আমাদের স্মৃতি শাস্ত্রে ধর্মীয় আচারে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে উপবাস থাকার বিধান রাখা হয়েছে।
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা আমরা বুঝিতে পারিলাম যে, প্রাণীজ আমিষ একেবারেই বর্জন করিলে নিজেরই ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাবে। আমি আমিষ বা নিরামিষের দাবার গুটি কারো উপরে চাপিয়ে দিতে চাই না। কারণ
এই অন্যায় শাসন কারো উপরে চাপিয়ে নিজে পাপী হতে চাই না।
আমি একজন হোমিও চিকিৎসক হিসেবে প্রত্যেক নর- নারীর কল্যাণের জন্যই এই প্রবন্ধ লেখায় মন স্থির করিলাম।
আজকাল সমাজে ধর্মীয় উন্মাদনা লক্ষ্য বেশ করা যায়।যার কারণে আমিষ ও নিরামিষের যাতা কলে ফেলে কিছু ধর্মীয় উন্মাদগণ সাধারণ মানুষকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
কিছু স্বার্থবাদী অসাধু মহল ধর্মের নাম করে গোলক ধাঁধায় ফেলে মানুষের জীবনকে নিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের দিক
দিকে! এমনি করে যদি ধর্মীয় উন্মাদনা বৃদ্ধি পায় তবে অচিরেই প্রত্যেকটি পরিবার হবে এক একটি পাগলা গারদ!
পরিশেষে বলবো যে, জীবন আপনার ভবিষ্যৎ আপনার এবং তার ভালো মন্দের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্বও আপনার।
ধর্মকে ভালোবাসা এবং মুক্তির চেষ্টা করা দোষের নয় কিন্তু ধর্মান্ধতাই দোষের।
লেখার আরো ইচ্ছে ছিল, কিন্তু প্রবন্ধটা অনেক বড় হয়ে আমারই ধৈর্য্য হারিয়ে গেছে। যার জন্য লেখাতে ভুল ভ্রান্তি হওয়াটা স্বাভাবিক। অনিচ্ছা কৃত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। পরিশেষে সকলের দাম্পত্য জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে এখানেই বিদায়।
প্রবন্ধ রচনায়
পবিত্র চক্রবর্তী
চাঁদাপুর
১১/০৫/২০২৩ইং