চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে ২নং পূর্ব বালিথুবা ইউনিয়নে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ছাত্র ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচী এবং ডিসি বরাবর প্রতিবাদ স্মারকলিপি দিয়েছেন।
জানা যায়, ফরিদগঞ্জের ২নং পূর্ব বালিথুবা ইউপি চেয়ারম্যানের ফেসবুক আইডি হতে একটি পোষ্ট করা হয়। যেখানে লেখা ছিলো ‘আলহামদুলিল্লাহ (দেবীপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামকরণ করা হল আজ মাসিক সমন্বয় সভায়’। আর এর পর পরই এর পক্ষে বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য শুরু হয়। আর এর পরপরই বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গণ থেকে শুরু করে সর্বমহলে আলোচিত হচ্ছে। এতে সারা জেলায় ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদের ঝড়।
দৈনিক বাংলার অধিকার এর সর্বশেষ সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন/ www.dainikbanglarodhikar.com
এদিকে এই ফেসবুক স্টেটাসটির সত্যতা কতটুকু এ প্রসঙ্গে ওই ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জের রাজনীতিবীদ ও সুশীল সমাজ বলছে, ওই ইউপি চেয়ারম্যান যদি এমন কিছু ফেসবুকে লিখে থাকে এটি সম্প্রীতির শহর ফরিদগঞ্জকে বিতর্কিত করতে তিনি আলোচনার জন্ম দিতে চাচ্ছেন।
তবে এটা ফরিদগঞ্জবাসী কখনোই মেনে নিবেনা। কেননা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ইসলাম কখনোই সমর্থণ করেনা। আর ফরিদগঞ্জে এসব সাম্প্রদায়িক অপতৎরতা ধর্ম-বর্ণ-জাতি সবাই মিলে প্রতিহত করবে।
এদিকে বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানী দাবী করে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচী এবং সবশেষে জেলা প্রশাসক এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ছাত্র ঐক্য পরিষদ। এসময় জেলা প্রশাসকের কক্ষে এ প্রতিবাদ স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অপু কুমার বিশ্বাস, সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) রুপঙ্কর চন্দ্র শীল, সদস্য শুভ সাহা, দীপ্ত সাহা, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্র ঐক্য পরিষদপর আহ্বায়ক কানাই দে, সদস্য সচিব শিমুল দে, সদস্য দিয়া বিশ্বাস, পিয়াস চন্দ্র দাস,শুভ্রত দাস, জয়ন্ত চন্দ্রসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তাৎক্ষণিক বলেন, এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোলমডেল একটি জেলা। এখানে স্কুলের নাম পরিবর্তনে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দেয়ার সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।