কহিনুর বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের প্রকৃত জেলেরা চাল না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৪ মে কেশবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু “জেলে কার্ড” থাকা সত্ত্বেও ৬৯ জন জেলেকে চাল দেয়নি ওই ওয়ার্ডের মেম্বর কাওসার সিকদার। এঘটনায় গত ৬ মে ভূক্তভোগী জেলেরা ইউএিনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তদন্ত করতে গেলে ঘটনার সত্যতা পেলেও এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি।
এদিকে চাল না পাওয়া ওই ৬৯ জন জেলেরা ০৮.০৫.২৩নইং তারিখ রোজ সোমবার বেলা ১২ টার দিকে ইউএনও’র কাছে এসে আবারো অভিযোগ দেন। এসময় অভিযুক্ত মেম্বরকে ডেকে এনে ঘটনা জানতে চাইলে মেম্বর কিছুটা অনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
হিসেব মতে ৬৯ জন জেলেদের প্রায় তিন টন চাউল বিতরণ করা হয়নি। ভূক্তভোগী জেলেরা জানান, “জেলে কার্ড” নিয়ে চাউল আনতে গেলে মেম্বর কাওছার সিকদার তাদের সাথে অসদাচারণ করেন এবং গায়ে হাতও দেন। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলে না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল আমিন বলেন,‘বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে মোবাইল ফোনে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন। দুই-এক দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন পেয়ে মেম্বর কাওছার সিকদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কহিনুর বেগম
বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।
০৮.০৫.২৩