রাণুর কবিতা
উলঙ্গ আকাশ ঝুলে আছে বুক ফুলিয়ে
নির্লজ্জের মতো-
তাকিয়ে দেখি তৃণনির্মিত টুপি মাথায়
পিণ্ডীভূত চলছে।
দেখে মনে হয় গন্তব্যস্থল জানা নেই তাদের-
তবে উদ্দেশ্যটা কী?
পিণ্ডীভূতের মধ্যে জ্ঞানবৃদ্ধ বেশি,
অনভিজ্ঞ অল্পসংখ্যক,
কখনো ক্ষিপ্রবেগে চলা তো কখনো মন্থর গতিতে।
আবার কখনো দেখি কার্পাসের জড়পিণ্ড
মাথায় নিয়ে ক্ষিপ্রবেগে ছুটে চলেছে।
কিন্ত যাচ্ছেটা কোথায়?
মাথায় আমার অনুচিন্তন ঘুরপাক খাচ্ছে।
জ্ঞানবৃদ্ধ বেশিসংখ্যক ন্যুব্জদেহ মনে হয়-
এই বুঝি পড়লো হুমরি খেয়ে মুখ থুবড়ে।
ওদের এখন বিশ্রামাগারে থাকার কথা।
হিরের চূর্ণ হয়ে পড়বে ঝরঝরিয়ে-
খরতার আঘাতে বির্দীণ ক্ষেত্র।
বৃদ্ধের সোহাগের ভারে হবে নত-
প্রকৃতির মাথা
ঋতুমতী হয়েছে মানসিক ব্যাধিতে, তাই
নীরস নিস্তেজ!