মোঃ শান্ত খান ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জে খুন হওয়া এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। সোমবার সকালে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায় সাভার মডেল থানা পুলিশ।
নিহত গৃহবধুর পরিবার জানায়, এক বছর আগে মানিকগঞ্জের চরচামটা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে লামিয়া আক্তারের (১৯) সাথে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের মৃত মধু মিয়ার ছেলে এমারত হোসেন মিলনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে নিহতের স্বামী সৌদি আরব চলে যান। পরে নিহতের ভাসুর কবির হোসেন ও শাশুড়ি মমতাজ বেগম যৌতুকের জন্য গৃহবধূ লামিয়া আক্তারকে মারধর করে আসছিলেন। শনিবার আবারও তাকে মারধর করে হত্যার পর সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনার পর হাসপাতাল থেকে নিহতের ভাসুর ও শাশুড়ি পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ওই গৃহবধূর পরিবার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।
পুলিশ বলছে, তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
অপরদিকে ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমিকার বাড়ি থেকে আমিনুর রহমান (২১) নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেই বাড়ির কর্তা ও তার মেয়েকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। রাতে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের কফিল উদ্দিনের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। গৃহকর্তার মেয়ের সঙ্গে মৃত তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়।
মেয়েটির পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই তরুণ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃত আমিনুরের স্বজনদের অভিযোগ, তাদের ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকার বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে গৃহকর্তা কফিল উদ্দিন ও তার মেয়ে উর্মি আক্তারকে।
মৃত আমিনুর রহমান একই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। এঘটনায় ধামরাই থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।