ফরিদ মিয়া নান্দাইলঃ
ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই (টঙ্গীরচর) গ্রামে নারী সংক্রান্ত ঘটনার জেরে মৃত আঃ বারেকের পুত্র আবুল কালাম ওরফে হিরাম মাস্টারের হাতে প্রতিবেশী ভাতিজা মৃত নজরুল ইসলামের পুত্র আমিনুল ইসলাম (২০) নামে এক যুবককে চুরিকাঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর যখম করা হয়েছে। স্থানীয়রা লোকজন আমিনুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত ডাক্তার আমিনুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আবুল কালাম ওরফে হিরাম স্থানীয় হাওলাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী কৃষি শিক্ষক হিসাবে কর্মরত। এলাকাবাসীরা জানান, গত ৪/৫দিন পূর্বে একই গ্রামের খোকন মিয়ার পুত্র তুহিন (১৯) এর সাথে মৃত আঃ বারেকের পুত্র সুনু মিয়ার কন্যা সারমিন আক্তার (১৫) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুইজনেই সম্পর্কে প্রতিবেশী চাচাত ভাই-বোন হয়। এক পর্যায়ে গত ৪-৫দিন আগে মেয়ে ছেলের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেন। গতকাল রোববার মেয়ের পরিবারের সদস্যরা ছেলের বাড়িতে গিয়ে বাড়িতে আগুন লাগানো সহ খুন করার হুমকী দেন। এসময় মৃত নজরুল ইসলামের পুত্র আমিনুল ইসলাম তার প্রতিবাদ করার অপরাধে আজ সকালে বাড়ি থেকে দোকানে যাবার পথে হিরাম মাস্টার বাড়িতে ডেকে এনে চুরিকাঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। এবিষয়ে আচারগাঁও ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল ফকির বলেন, সকালে মারামারি হচ্ছে শুনে বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমিনুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পাই। আমিনুলের চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে পাঠাই। পরে এলাকাবাসীরা হিরাম মাস্টার, তার পুত্র অমিত ও তার স্ত্রী রওশন আরাকে ঘরে আটক করে পুলিশকে অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ ৩ জনকে আটক অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।