বেশ চাঙ্গা সময় পার করছেন অভিনেতা শ্যামল মাওলা। ওটিটিতে দারুণ ব্যস্ত তিনি। সদর ঘাটের টাইগার, মানি হানী, মাইনকার চিপায়, কষ্টনীড়, মহানগরসহ বেশ কিছু ওটিটির কাজ করে আলোচনায় আসেন এ অভিনেতা। তাছাড়া বলতে গেলে ওটিটির শুরুই বাংলাদেশে তার অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে। এছাড়া এই অভিনেতার হাতে আছে একাধিক ওয়েব সিরিজের কাজ। এর মধ্যে মুক্তি পেল ‘হৈচৈ’তে ‘মহানগর-২’। এটি নির্মাণ করেছেন আশফাক নিপুন।
ধনকুবের আফনান চৌধুরীর চরিত্রে শ্যামল মাওলা মহানগর ২ দিয়ে জানান দিলেন সামনের সময়টা শুধুই তার। আজকের পর ওটিটির সম্রাট নামটা শুধু তার সাথেই যায়। যেখানে সোস্যাল মিডিয়া তাকে নিয়ে দর্শকের এই অভিমত দিয়ে যাচ্ছেন। প্রশংসা কুড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত।
মহানগরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো, এই সিরিজটি প্রচণ্ড প্রাসঙ্গিক। সময়কে ধরে রাখার হিসাবটি কড়ায়-গণ্ডায় মিটিয়েছেন নির্মাতা নিপুন। প্রথম সিজনেই এই বৈশিষ্ট্য পাওয়া গিয়েছিল বটে। সিরিজে দেখানো প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে একজন দর্শক নিজেকে মেলাতে পারবেন নিমেষেই। কারণ পত্রিকার পাতা থেকে জানা ঘটনাকেই যে ভিন্ন আঙ্গিকে পর্দায় দেখা যাবে! নাম-পরিচয়ে যতই ভিন্নতা থাকুক আপনি বুঝে যাবেন কেন বলা হলো, ‘টাকলার স্বভাব আর ভালো হইলো না’!
এদিকে ওসি হারুন কে, সেটি আর নতুন করে বলার কিছু নেই। সম্ভবত মোশাররফ করিমের অন্যতম সেরা অভিনয় দেখা গেছে মহানগর দুইয়ে। সিজন টু-এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্রেফ কাঁপিয়ে দিয়েছেন তিনি। যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন জেরা করা অফিসারের চরিত্রে থাকা ফজলুর রহমান বাবু। রাজনীতিবিদ ও মহানগরের মেয়রের ভূমিকায় আফসানা মিমি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন। ডিবি অফিসার সুকুমার বড়ুয়া হিসেবে বৃন্দাবন দাসের তুলনা মেলা ভার। একটি ইঙ্গিত দিয়ে রাখা যাক। সিজন টু-এর ক্ল্যাইম্যাক্সে বৃন্দাবন দাসের ভূমিকা বিশাল।
তবে এখন কোটি টাকার প্রশ্ন ওসি হারুন কি জীবিত নাকি মৃত। মহানগর ৩ এর ঘোষণা এসেছে। এটিকি ওসি হারুনকে ছাড়াই হবে। নাকি নতুন কেউ আসবে। এসআই মলয় কি নতুন ভূমিকায় আসবে। তবে সব মিলিয়ে ধনকুবের আফনান চৌধুরী, রজব আলী ও সুকুমার বড়ুয়া যে পরের কিস্তিতে বড় ভূমিকা রাখবে তা বলাই যায়। মহানগর-২ এমন এক জ্বলন্ত কুপির মতো যার আগুন অল্প অল্প করে বাড়তে থাকে, সবশেষে সেই আগুন ধপ করে নিভে যাবে। আর সেই আগুন পুনরায় জ্বালানোর জন্য আশফাক নিপুণ দেয়াশলাই ধরে বসে আছেন, অপেক্ষা শুধু দাবানলের, অপেক্ষা সিজন ৩ এর।