পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে বিয়ের বরযাত্রীসহ নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ চাঁর জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩০.০৪.২৩ইং তারিখ রোজ রবিবার দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের পাতারচর এলাকার চর ঘুর্নির নামক স্থান থেকে নববধূর ছোট বোন মারুফা বেগম (৮), গলাচিপা উপজেলার বদনাতলী নামক স্থান থেকে বর রাব্বি হাসান (২০) ও বরের মা সেলিনা বেগম (৪৫) এবং খাদিজার (৫)কে উদ্ধার করেন পটুয়াখালীর ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল।
জানা যায়, উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের চরশাহজালাল গ্রামের হুমায়ন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সাথে রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বির একমাস পূর্বে বিয়ে হয়। রাব্বির স্বজনরা গত ১৮তারিখ মঙ্গলবার নববধূর বারিতে বৌভাতে অংশগ্রহন করেন। ওই বৌভাতে রাব্বি সহ পনেরজন বরযাত্রী চরবোরহান নববধূর বাড়িতে যান। বৌভাত শেষে গত শুক্রবার ৪টার দিকে নববধূকে নিয়ে ফেরার সময় তেঁতুলিয়া নদীর মাঝপথে হঠাৎ ঝঁর শুরু হয়। ঝঁরের গতি বেশি থাকায় নৌকা উল্টে সবাই নদীতে ডুবে যায়। তখন স্থানীয় জেলারা নৌকা ডুবতে দেখে কাছে আসে এবং কনেসহ ১৫জনকে উদ্ধার করে। তবে বরসহ চারজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরসহ চারজন নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভসের একটি ডুবুরি টিম ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। নিখোঁজ চারজনকে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় গলাচিপা উপজেলার বদনাতলীর তেতুলিয়া নদী থেকে বর রাব্বি হাসান (২০) ও বরের মা সেলিনা বেগম (৪৫) এবং বেলা ১১টার দশমিনা উপজেলার নববধূর ছোট বোন মারুফা বেগম (৮) আর দুপুর আড়াইটায় দশমিনা উপজেলার চরঘুর্ণির তেতুলিয়া নদী থেকে খাদিজার (৫)কে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে স্বজনদের খবর দেয়। পরে দশমিনা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন পালোয়ান ও পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম তেঁতুলিয়া নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে
এবিষয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের স্টেসন অফিসার মো. রেজোয়ার বলেন, শুক্রবার বরযাত্রীসহ নৌকা ডুবির ঘটনায় আমরা উদ্ধারকাজ চলমান রাখি এবং রোবরার সকালে পৃথক পৃথক স্থান থেকে নিখোঁজ চারজনের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাদ আসর উপজেলার আউলিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে স্ব-স্ব পারিবারিক কবরস্থানে নিহতদের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়।