সাভারে পৌরসভার নামে অবৈধ টোল আদায় থামছে না। বিভিন্ন সময় জাতীয় ও বেসরকারি গণমাধ্যমে একাধিকবার এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সাভার পৌরসভার পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কার্যকরী কোনো উদ্যোগ। যার ফলে প্রকাশ্যে বিনা বাধায় সাভারের বিরুলিয়া রোডে চলাচলকারী যানবাহন থেকে দেদারসে চাঁদাবাজি চলছে । পকেট ভারী হচ্ছে কিছু অসাধু ব্ করে ।
সাভার পৌরসভার আওতাধীন বিভিন্ন কুলিস্ট্যান্ডের টোল নেয়ার জন্য ইজারা দেওয়া হয়। নির্ধারণ করে দেওয়া হয় টোল আদায়ের পরিমাণ ও। কিন্তু অসাধু ইজারাদাররা মানে না সেসব নিয়ম-কানুন।আব্দুল আলীম সোহাগ (সুলতান) এর নাম ভাঙ্গিয়ে চালকদের কাছ থেকে অবৈধ টোলের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। এমন চিত্র দেখা যায় শাহিবাগ মোড় সংলগ্ন এলাকায়। সাভার পৌরসভার নাম উল্লেখ করে ভুয়া রশিদ দেখিয়ে বিভিন্ন যানবাহন বাবদ নেওয়া হচ্ছে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা।
এদিকে সাভার পৌরসভা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী , পৌরসভা থেকে কুলিস্ট্যান্ডের নামে দরপত্র পেয়েছিলেন। কিন্তু ইজারাদার বাড়তি সুবিধার জন্য সাভার পৌরসভার নামে ভুয়া রশিদ তৈরি করে এর রাস্তায় চলাচলকারীর সব ধরনের যানবাহন থেকে টোল আদায় করেন।১০ টাকা থেকে শুরু করে তার পরিমাণ ১৫০ টাকা।
জানা গেছে, সাভার পৌরসভার কুলিস্ট্যান্ডের ইজারাদার এর নাম মোঃ সুলতান উদ্দীন। নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভা থেকে কুলিস্ট্যান্ডের নামে দরপত্র পেয়েছিলেন। কিন্তু কুলিস্ট্যান্ডের থেকে টোল নেওয়া ছাড়াও স্ট্যান্ডের অদূরে টোল আদায় করেন ইজারাদার লোকজন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, এই বিরুলিয়া রোডে টোল আদায় করেন সোহেল রাজ রানা ওরফে ন্যাংড়া সোহেল ও সাবেক ছাত্রনেতা রুবেল মন্ডল নামে দুই ব্যক্তি। এই দুই জন ইজারাদার আব্দুল আলীম সোহাগ (সুলতান) এর লোক বলেই পরিচিত। এ সড়কে চলাচলকারী সকল পরিবহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করেন তারা। টাকা না দিলে হয়রানির শিকার হতে হয় চালকদের।
নাম প্রকাশে ও অনিচ্ছুক একচালক বলেন, টাকা না দিলে গাড়ি আটকে রাখে । ঝামেলায় পড়তে চাই না বলে টাকা দিয়ে চলে যাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসামী রুবেল মন্ডল জানান, তারা আব্দুল আলীম সোহাগ (সুলতান) এর পক্ষ হয়ে টাকা উত্তোলন করছেন। সুলতান পৌরসভা থেকে কুলিস্ট্যান্ডের নামে দরপত্র পেয়েছিলেন। তার কাছ থেকেই সড়কের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান রুবেল। বিষয়টি নিয়ে জানতে সোহাগের ব্যক্তিগত নম্বরে কল দেওয়া হয় ও ম্যাসেজ পাঠানো হয়। তবে তিনি কোনোটিরই সাড়া দেননি।
এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, যারা টোল আদায় করে তারা সকলেই সোহেল রাজ রানা ওরফে ন্যাংড়া সোহেল ও সাবেক ছাত্রনেতা রুবেল মন্ডলের লোক।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন,নাম গুলো আমাকে দিন, আমি তদন্ত করে দেখবো।
সাভার পৌর মেয়র হাজী আব্দুল গনি বলেন, অটো রিস্কা ,পিকআপ, কভার ভ্যান,থেকে যারা টাকা উত্তলন করে তাদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেন।