মো শান্ত খান ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
সাভারে ইজারা ছাড়াই সড়কে টোলের নামে চাঁদা আদায় বন্ধ করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে চাঁদা তোলার সময় একজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
আটক চাঁদাবাজ সোহেল রাজ রানা (ন্যাংড়া সোহেল) সাভারের বাসিন্দা। যদিও পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জাতীয় জরুরি যোগাযোগ নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সেখানে ওই চাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পৌরসভা থেকে কুলিবিটের ইজারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চাঁদাবাজরা সেটির নাম করে সড়কের রিকশা ও আশপাশের দোকান থেকে চাঁদা আদায় করছিল। ব্যবসায়ীরা পৌরসভায় খোঁজ নিলে জানতে পারেন ওই চাঁদা আদায় অবৈধ। বৃহস্পতিবার তারা আবারও চাঁদা তুলতে এলে ব্যবসায়ীরা তাতে বাধা দিয়ে ৯৯৯-এ কল দেন। পরে পুলিশ ওই চাঁদাবাজকে আটক করে।
৯৯৯-এ ফোন করা মাছ ব্যবসায়ী বিপ্লব রাজবংশী বলেন, বলেন, আমি আব্দুল্লাহ কাঁচা বাজারে মাছ বিক্রি করি। এখানেই সোহেল চাঁদা নিতে আসে। তাকে জিজ্ঞেস করি কিসের চাঁদা। সে বলে তারা নিলামে নিয়েছে পৌরসভার। আমরা মেয়রকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান এটি কুলিবিটের নিলাম। আমাদের না। তাও যখন আসছে বলছি নিলাম হয়ে থাকলে রসিদ দিতে। তাও সে দিতে পারেনি। আর এখানে হিন্দু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিচ্ছিল। আগেও একটা অভিযোগ দিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার এসে সে ধমকাধমকি করে। উপায় না পেয়ে আমি ৯৯৯-এ কল দেই। পুলিশ এসে তাকে আটক করে। এরপরপুলিশ দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলে ও আগামী ২ মে সবাইকে নিয়ে বসার তারিখ দেয়।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান বলেন, আটক করিনি। চাঁদা তোলা হচ্ছে খবরটি ৯৯৯-এ পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পাই। ও (সোহেল) বললো এটা পৌরসভার। পরে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকতাকে জানাই। তিনি বিষয়টি নিয়ে ২মে বসার ডেট দেন। কার কি কাগজপত্র আছে তা দেখা হবে সেদিন। যদি নিলাম থেকে থাকে তাহলে তো এটা অবৈধ নয়। আর যদি কাগজপত্র না থাকে ও ব্যবসায়ীরা মামলা করতে চায় সেটি নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আপাতত প্রাথমিক সমাধান করা হয়েছে। ২ তারিখ পর্যন্ত কোনো ধরনের চাঁদা নেওয়া বা দেওয়া হবে না।
এর আগে আসামী রুবেল মন্ডল জানান, তারা আব্দুল আলীম সোহাগ (সুলতান) এর পক্ষে টাকা উত্তোলন করছেন। সুলতান পৌরসভা থেকে কুলিস্ট্যান্ডের নামে দরপত্র পেয়েছিলেন। তার কাছ থেকেই সড়কের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান রুবেল। বিষয়টি নিয়ে জানতে সোহাগের ব্যক্তিগত নম্বরে কল দেওয়া হয় ও মেসেজ পাঠানো হয়। তবে তিনি কোনোটিরই সাড়া দেননি।
এদিকে সড়কটিতে এ টোল আদায় অবৈধ বলে জানা গেছে। গত ৩০ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক ও ৮ ফেব্রুয়ারি সাভার পৌরসভার মেয়রের সাক্ষরিত পৃথক নির্দেশে বলা হয়, টার্মিনাল ছাড়া অন্য সকল সড়ক মহাসড়কে চাঁদা/টোল আদায় অবৈধ।