আশির দশকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামীণ জনপদে ঘটে যাওয়া কঠিন বাস্তবতা আর জীবনবোধের গল্পে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘আদম’। এ সিনেমায় প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিস বাংলাদেশ খ্যাত জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী ও ‘স্বপ্নজাল’ সিনেমার অভিনেতা ইয়াশ রোহান। আসছে ঈদে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হবে। কিন্তু মুক্তির আগেই সিনেমা নিয়ে ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠে ।অভিযোগ করে গত ১২ এপ্রিল সিনেমাটির সেন্সর সনদপত্র বাতিল ও প্রদর্শন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য সচিব বরাবর আবেদন করেন জামিল হোসেন নামক এক ব্যক্তি। এরপর একই অভিযোগে ১৩ এপ্রিল জামিল হোসেন নামের এই ব্যক্তির পক্ষে আইনজীবী মো. ইসমাঈল হোসেন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য সচিব, আদম চলচ্চিত্রের প্রযোজক তামীম হোসেন ও পরিচালক আবু তাওহীদ হিরণসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করেন। তবে গত ১৬ এপ্রিল ‘আদম’ চলচ্চিত্রের সেন্সর সনদপত্র বাতিল ও প্রদর্শন বন্ধ চেয়ে করা রিটটি না শুনে ফিরিয়ে দেন মহামান্য হাইকোর্ট। সেদিনই আবার সনাতন পার্টি নামক সংঠনের সভাপতি আশিষ কুমার দাস ‘আদম’ সিনেমাকে বিতর্কিত এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক ও মানহানিকর চলচ্চিত্র উল্লেখ করে আইনি নোটিশ দেন। এ নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) এসব বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন পরিচালক আবু তাওহীদ হিরণ।
এ সময় তিনি বলেন, ‘এখনো এই বিষয়টি নিয়ে তারা বিভিন্নভাবে সামাজিকমাধ্যমে হয়রানি করে যাচ্ছে। তারা যে বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছ, সেটি আমাদের সিনেমার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় এবং সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা। তাই আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাচ্ছি আমরা কোনো ধর্মকে ছোট করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করিনি।’
এই নির্মাতা আরো বলেন, ‘শুধুমাত্র ট্রেলারের ছোট একটি সংলাপ শুনে পুরো চলচ্চিত্রের বিচার না করে সম্পূর্ণ চলচ্চিত্রটি দেখবেন আশা করি। পুরো চলচ্চিত্রটি দেখলে সবার ভুল ভেঙ্গে যাবে। ‘
‘আদম থাইকা আদম সন্তান কেউ ফেরেশতা কেউ বা শয়তান’ ট্যাগ লাইনে সিনেমাটি নির্মাণ হয়েছে। এতে ইয়াশ ও ঐশী ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন বরেণ্য অভিনয়শিল্পী রাইসুল ইসলাম আসাদ, রঙ্গন হৃদ্য, অ্যালেন শুভ্র, শহীদুজ্জামান সেলিম, প্রাণ রায়, মনিরা মিঠু, সুমনা সোমা, আফফান মিতুল, ইকবাল হোসেন ও মিলন ভট্টাচার্য।