রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে তরমুজের ফলন বৃদ্ধিতে তরমুজ ক্ষেতে মৌবক্স স্থাপন করে সফল হয়েছেন কৃষক মনিরুল ইসলাম। রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ধামিলা এলাকার কৃষক মনিরুল ইসলাম মালচিং পদ্ধতিতে ১বিঘা ২ কাঠা জমিতে চাষ করেছে ব্লাকবেরী জাতের ১২ মাসি তরমুজ। তার তরমুজ ক্ষেতে পরাগায়নের জন্য স্থাপন করেছে ৬ টি মৌবক্স। এতে তার ক্ষেতে তরমুজের গাছে ভালো তরমুজ ধরেছে।
কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে তরমুজ চাষি মনিরুলের। মনিরুল বলেন, ২ মাস আগে ১ বিঘা ২ কাঠা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজের চাষ করেছি। বীজ থেকে চারা তৈরী, চারা জমিতে লাগানো থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। প্রথম দিকে জমিতে তরমুজ ধরার পর গুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তরমুজ টিকছিলনা। তখন গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতনু সরকারের কাছে পরার্মশ করিলে তিনি বলেন, পরাগায়নের সমস্যা হচ্ছে। তাই ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভালো পরাগায়নের জন্য তরমুজের জমিতে মৌবক্স স্থাপনের পরার্মশ দেন। ২১ হাজার টাকাই ভাগাইল থেকে ৬টি মৌবক্স কিনে এনে তরমুজের জমিতে ৬ টি মৌবক্স স্থাপন করি। মৌবক্স স্থাপনের পর ফুলে পরাগায়ন ভালো হচ্ছে। এতে করে তরমুজের গুটি নষ্ট হচ্ছে না। গাছে ভালো তরমুজ ধরেছে। এখন গাছে ৫শ’ গ্রাম থেকে ১ কেজী ওজনের তরমুজ রয়েছে। ঈদের পর তরমুজ বিক্রি শুরু করবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তরমুজ চাষি মনিরুল বলেন, তরমুজ ক্ষেতে মৌবক্স স্থাপন করে লাভবান হয়েছি। ১ বিঘা ২ কাঠা জমিতে ১ হাজার তরমুজের গাছ রয়েছে। কম করে হলেও প্রতিটি গাছে যদি ২ থেকে ৩ টি করে ৩ কেজী ওজনের তরমুজ পাই তাহলে ১শ’ ৮০ মণ তরমুজ পাবো। যা বিক্রি হবে প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায়। খরচ বাদে আয় হবে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা। তবে আশা করছি এর চাইতে আরো বেশী আয় হবে।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতনু সরকার বলেন, তরমুজ ক্ষেতে ফুলে পরাগায়নের সমস্যা হলে তরমুজ নষ্ট হয়ে যায়। তরমুজ ক্ষেতে মৌবক্স স্থাপন করলে মৌমাছি দ্বারা পরাগায়ন ভালো হয়। এতে করে প্রায় ৩০ ভাগ ফলন বৃদ্ধি পায়।