শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার। সনাতনীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে একত্রিত হতে হবে ছাগলনাইয়া সেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

উলিপুরে ছেলের বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ / ১৮৭ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩, ৭:০৬ অপরাহ্ণ

উলিপুরে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে বৃদ্ধ মাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মা সাহেরা বেগম (৬৫) থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার তিন দিন পেড়িয়ে গেলেও কোন সুরাহা মেলেনি। ছেলের হামলায় আহত ও আতঙ্কিত ওই মা নিরাপত্তাহীনতায় বর্তমানে তার মেয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন। বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকালে তনুরাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাহেরা বেগম তনুরাম গ্রামের মৃত আব্দুস ছালামের স্ত্রী। তার ছেলের নাম শাহাদৎ আলী মুকুল (৪২) ও পুত্রবধূর নাম মাসুদা আক্তার ঝর্ণা (৩৬)।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পান্ডুল ইউনিয়নের তনুরাম এলাকায় সাহেরা বেগম দুই ছেলেসহ স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। গত ৫ এপ্রিল পারিবারিক বিষয় নিয়ে বড় ছেলে শাহাদৎ আলী মুকুল (৪২) এর সাথে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। এ সময় মুকুল ও তার স্ত্রী ওই বৃদ্ধাকে গলা ধরে ধাক্কা দেন ও সুপারির গাছের বাকল দিয়ে মারধর করে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুই দিন চিকিৎসা শেষে তিনি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বাড়িতে না গিয়ে মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী সাহেরা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বুধবার (৫ এপ্রিল) রাতেই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। পরদিন থানা থেকে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতে প্রথমে আমার এলাকায় ও পরে হাসপাতালে গিয়ে আমার কাছে বিস্তারিত শোনে। ভর্তি হওয়ার দুইদিন পর আমি কিছুটা সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল থেকে মেয়ের বাড়িতে চলে যাই। সেদিন থেকে মেয়ের বাড়িতেই অবস্থান করছি। ছেলে ও ছেলে বউয়ের ভয়ে আমি আমার বাড়িতে যেতে পারছি না। তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায়। আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ওই বাড়িতে নাকি আমার কোনও অধিকার নাই। তাহলে এই বয়সে আমি কোথায় যাবো, কার কাছে বিচার চাইবো।’

ছেলের হাতে আগেও একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জানিয়ে ভুক্তভোগী এই মা আরও বলেন, ‘অভিযোগ দেয়ার কয়েক দিন পেড়িয়ে গেলেও থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তারা আমাকে মিমাংসা করতে বলে। আগেও মিমাংসা করে দিছে। তারপরও আমাকে মারে। এখনও নির্যাতন করছে। মিমাংসা না, আমি অমন ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর বিচার চাই।’

ছেলে শাহাদৎ আলী মুকুল মাকে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এ গুলো ভন্ডামি কথা। আমি মাকে মারধর করিনি। এছাড়া আমার স্ত্রী ঘর থেকে বাহিরে বের হয়না। মাকে মারধর করার প্রশ্নই উঠে না।’ পারিবারিক বিরোধে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে জানিয়ে মুকুল বলেন, ‘ঘটনার দিন মা আমার বোনের বাড়িতে ছিলেন। আমার ছোট ভাইয়ের সাথে আমার ধস্তাধস্তির খবরে মা বাড়িতে এসে কোনও কিছু না শুনে আমাকে ধরছে। এসময় তাকে অন্যরা ছুটিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়টি আমার ছোট ভাই ও ভগ্নিপতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।’

থানা পুলিশ বলছেন, মা-ছেলের দ্বন্দ্বের বিষয়ে এর আগেও থানায় অভিযোগ হয়েছিল। তখন উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসা করা হয়েছে। এবারও ভুক্তভোগী মা নির্যাতনের অভিযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তবে এবার ভুক্তভোগী মা মিমাংসায় আগ্রহী নন।

উলিপুর থানার ওসি শেখ আশরাফুজ্জামান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এক পুত্রবধূর কারণে বারবার বিরোধ তৈরি হচ্ছে। এবার ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। আমরা অভিযোগটি জিডি মূলে গ্রহণ করে আদালতে পাঠিয়েছি। পাশাপাশি মা-ছেলের মধ্যে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!