যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের একজন সফল ও মানবিক মানুষ মোঃ সামছুল হক মন্টু।
কিভাবে মানব সেবা করা যায় সেই চিন্তাই তাঁর মাথায় সবসময় ঘুরপাক খায়। ঝাঁপা ইউনিয়নের সর্বস্তরের সাধারন মানুষের কাছে তিনি আলোর দিশারী মানবদরদী ও পর উপকারী ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত। জনগণ তাকে পরম বন্ধু মনে করে। তাই তো তিনি মানুষের কাছে এত জনপ্রিয়।
কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে কিছু মানুষের কাছে তাঁর এমন আকাশ ছোয়া জনপ্রিয়তা তাই কিছু মানুষের সহ্য হচ্ছে না। তাই তো তাঁরা তাঁর সুনাম ও জনপ্রিয়তা নষ্ট ও সুনাম নষ্টের পায়তারায় মেতেছে তাঁরা। একজন সংবাদকর্মীর চোখে তাঁর মানবিকতা ও সমাজ সেবার ঝলককে আসেন না এই মানবিক মানুষটির কাছে? গোটা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফকির, এতিম, প্রতিবন্ধী, যুবক, যুবতী, তালাকপ্রাপ্তা, বিধবা, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা, উঠতি নেতা, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি, ধনী, মসজিদের ইমাম, পুরোহিত, সকল ধর্মের বিভিন্ন পেশার মানুষ তাঁর কাছে আসেন। তিনি সবাইকে ভালোবাসেন উদার, নিরহংকার, অমায়িক এবং মিষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত। যে মানুষ তার সান্নিধ্যে একবার গিয়েছে, সেই মানুষটি কোন না কোনোভাবে মুগ্ধ হয়েছেন, যা তাকে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গেছেন। ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সামছুল হক মন্টুকে চেনেন না এমন মানুষ খুব কম আছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি সাধারণ মানুষের কথা শোনেন। তাদের বিপদে আপদে তিনি তাদের সাহায্য করেন। মানুষ আসেন তাঁর কাছে।
এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না যে, তাঁর কাছে এসে সাহায্য না পেয়ে ফিরে গেছেন। মেয়ের বিয়ে-টাকার প্রয়োজন, সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে- টাকার প্রয়োজন, বড় আপারেশন- টাকার প্রয়োজন, চিকিৎসার ব্যয়- টাকার প্রয়োজন, সব ভরসার আশ্রয়স্থল সুযোগ্য চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টু। এছাড়া অনেক মানুষ আসেন তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্তত কিছু একটা অবলম্বন পাওয়ার আশায়। তিনি সাধ্যমত তাদের জীবন চলার মত ব্যবস্থা করে দেন। যেমন- কাউকে রিকশা, কাউকে ইজিবাইক আবার কাউকে মুদি দোকান করার মতো সহায়তা করে থাকেন। অনুসারী, ভক্ত এবং সহকর্মীদের কাছে তাঁর জীবন এবং কর্ম প্রেরণার।
তিনি সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন এমন নজির নেই, যা একজন রাজনীতিবিদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। তিনি বুদ্ধিমান, মেধাবী এবং অমায়িক হিসেবে পরিচিত। আচরণে তিনি যেমন শিষ্ট, তেমনি বিচক্ষণতায় তীক্ষ্ণ। ঠিক তেমনি দুর্বলের তিনি যেমন বন্ধু, আবার অন্যায়-অত্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর। তিনি নিজের ক্ষতি করতে পারেন, কিন্তু অন্যের ক্ষতি তাঁর দ্বারা অসম্ভব।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার সাথে সাথে তিনি এ দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে অসহায়, অসচ্ছল এবং হঠাৎ কর্মহীন হওয়া পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। সামছুল হক মন্টু রাত-দিন মানুষের জন্য আত্ম-মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা, জীবন-যাত্রার মানোন্নয়ন, শান্তি এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন।জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার প্রতি সমান গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। যেন একটি স্বপ্নময় ভাতৃ-প্রতিম ও সম্প্রতিময় নির্বাচনি এলাকা গড়ে তুলতে পারেন। সব গোষ্ঠীর লোকজন যেন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারেন। ঝাঁপা ইউনিয়নবাসী সত্যিই সৌভাগ্যবান সামছুল হক মন্টু ভাইয়ের মতো আদর্শবান একজন নেতা পেয়েছেন, যে ভবিষ্যতে এ দুই উপজেলার মানুষের কর্ণধর হয়ে সকল মানুষের আশা-আকাঙক্ষা পূরণ করবে।