প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে গ্রেপ্তার করা হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে – ওই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূলত চাইল্ড অ্যাবিউজের (শিশু নিপীড়ন) কারণে। শনিবার (১লা এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদে বলা হচ্ছে যে, জীবনযাত্রার মান নিয়ে প্রতিবেদন লেখার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল ও বানোয়াট। ওই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চাইল্ড অ্যাবিউজ ও এক্সপ্লয়টেশনের (শিশু নিপীড়ন ও শোষণ) জন্য।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৯শে মার্চ) রাত ১১টার দিকে অ্যাডভোকেট আবদুল মশিউর মালেক বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একইদিনে সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তেজগাঁও থানায় শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা করেন। এই মামলা দায়েরের ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচয়ে কিছু লোক শামসুজ্জামানকে তার সাভারের (জাবি সংলগ্ন) বাসা থেকে তুলে নেয়। স্থানীয় পুলিশ জানায়, তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না। এর প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়।