মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধ সড়কে বিপরীতমুখী থেকে আসা বেপরোয়া প্রাইভেট কারের ধাক্কায় বিজয় দাস (১২) চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীর নিহত হয়েছে।
বাবার সেলুনের দোকান থেকে বিজয় দাস ৪০ টাকা নিয়ে ৩ টি ডিম কিনে নিয়ে রওনা দিয় বাড়ি দিকে, কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ডিম নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলোনা বিজয় দাসের। ফিরল লাশ হয়ে। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়।
আজ সকালে মেঘনা ধনাগোদা বেরিবাঁধ মহাসড়কের কলাকান্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ দশানী এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
অজ্ঞাত প্রাইভেট কারটি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায় ড্রাইভার, যার ফলে ওই প্রাইভেটকারটি সন্ধান এখনো মিলেনি।
জানা যায়, বিজয় দাসের বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ দশানী গ্রামে। তার পিতার নাম মরন দাস। তার ৩ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বিজয় দাস ছিল বড়। বিজয় দাস মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহত বিজয় দাসের বাবা মরন দাস অশ্রুসিদ্ধ কণ্ঠে জানান, আমার ছেলে বিজয় আমার দোকানে এসে বলে বাবা মা বলেছে ডিম নিয়ে বাড়ি যেতে। তখন আমি তাকে আমার পকেট থেকে ৪০ টাকা দিয়ে বলি ৩টি ডিম কিনে আর বাকি টাকা দিয়ে কিছু খেয়ে বাড়ি চলে যাও। আমার কথা মতো বিজয় ৩টি ডিম নিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই সড়কে একটি গাড়ি এক্সিডেন্ট করে আমার ছেলেকে। এলাকার লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে, এসে দেখি আমার ছেলে আর দুনিয়াতে নাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজয় ডিম নিয়ে বাড়ি সময় পিছন থেকে একটি অজ্ঞাত প্রাইভেট কার ধাক্কা মেরে দ্রুত চলে যায়, আমার গাড়িটিকে আটকাতে পাড়িনি, পরে বিজয়কে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যাই।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হাসিবুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।