ঝালকাঠিতে কৃতি পাশা বাজারে, শিপন এন্টারপ্রাইজ ব্যবসার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের খবর পাওয়া গেছে। বগুড়ার বিশিষ্ট ফল ব্যবসায়ী মোঃ আমিরুল ইসলাম লিমন এবং তার খালা নাজমুন নাহার মলি শিপন এন্টারপ্রাইজের ব্যবসা পরিচালনা কারিনী মিসেস কবিতা বেগমের সাথে দীর্ঘদিন যাবত ডাব নারকেলের ব্যবসা করে আসছেন। পুর্বের ন্যায় মিসেস কবিতা আমিরুল ইসলাম লিমনের কাছ থেকে ডাব নারকেল দিবার কথা বলে ডাস বাংলা ব্যংক একাউন্টে 50 হাজার এবং বিকাশ ও রকেট দুইটা একাউন্ট নাম্বারে 50 হাজার মোট এক লক্ষ টাকা আনে । কবিতা টাকা হাতে পেয়েই বগুড়ার আমিরুল ইসলাম লিমনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়, এবং ডাব নারকেল ও দিতেছে না। আমিরুল ইসলাম লিমন দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করে কবিতা বেগমের বিষয়টি জানান। ঝালকাঠির কৃতি পাশা শিপন এন্টারপ্রাইজের ব্যবসা পরিচালনা কারিকে, অনেক চেষ্টা করে ফোনে কথা বলে জানতে চাইলে
তিনি বলেন, আমি বাড়িতে না থাকায় বগুড়া ডাব নারকেল পাঠাতে পারিনি । তবে আমি লিমন ভাইয়ের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা এনেছি সত্য দুই দিনের মধ্যে ডাব নারকেল বগুড়া পাঠিয়ে দিবো।
সরোজিনে দেখা গেলো কৃতি পাশা বাজারে মিসেস কবিতার সিপন এন্টারপ্রাইজ নামে দোকানে কিছু পরিমাণ ডাব নারকেল। জানতে চাইলে কবিতা বলেন বগুড়ার লিমন ভাই এক লক্ষ টাকা দিয়েছে কিন্তু এক ট্রাক ডাব নারকেল আনুমানিক মূল্য 2 লক্ষ টাকার উপরে । আমি লিমন ভাইকে দুইদিনের মধ্যে এক ট্রাক ডাব নারকেল পাঠাইবো তবে আমার কাছে লিমন ভাইয়ের এক লক্ষ টাকা ছাড়া বাড়তি আর কোন টাকা নেই। তাই এই মূহুর্তে লিমন ভাই আর এক লক্ষ টাকা দিলেই আমার লোক দিয়ে এক ট্রাক ডাব নারকেল পাঠিয়ে দিবো । এ কথা লিমন কে বলা হলে ঐ দিনেই তার খালা নাজমুন নাহার মলি বগুড়া থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়ে এসে গত 22/03/2023 মিসেস কবিতাকে দেন ঐ সময় কবিতার মেয়ে তিশা টাকা বুঝিয়ে নিয়ে নাজমুন নাহার মলিকে বলে আন্টি দুই দিনের মধ্যে আম্মু বগুড়ায় ডাব নারকেল পাঠিয়ে দিবো কোন চিন্তা না করেন ।
কিন্তু বিষয়টি হলো বিপরীত , কবিতা ও তার মেয়ে মিলে ডাব নারকেল বগুড়া না দিয়ে ঢাকা অন্য আরতে পাঠিয়ে দিয়ে কবিতা আত্নগোপন হয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেয়।
কবিতার মেয়ের কাছে জানতে চাইলে বলে আম্মু অসুস্থ এবং হাসপাতালে ভর্তি তবে কোন হাসপাতালে তা আমরা জানি না।আমার সাথে কোন যোগাযোগ নেই। কবিতার ছেলে ফাহিমের ও উক্তি আমাদের সাথে যোগাযোগ নেই। কবিতার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলে আমি ঢাকায় আমার কাজে আসছি তবে আমার স্ত্রী বগুড়া ডাব নারকেল না পাঠিয়ে কেন ঢাকায় দিলো তা আমি জানি না।
কবিতার মেয়ে তিশাকে বগুড়ার আমিরুল ইসলাম লিমন এবং তার খালার কাছ থেকে নেওয়া টাকা কবে দিবা জিজ্ঞেস করলে, তিশা বলে হ্যাঁ আম্মুর যদি কখনো সন্ধান পাই তখন বলবো যে বগুড়ার দুই লক্ষ টাকা কিভাবে দিবো । এখন আমি এ বিষয় কিছু বলতে পারিনা।
পরিশেষে জানা যায় তাহারা সকলে মিলে এধরনের প্রতারনার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা এনে প্রায়ই আত্নগোপন হয়ে মেয়েকে বাড়ী সামল দিতে বলে । ওদের এই প্রতারনায় বগুড়ার ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম লিমন এবং তার খালা নাজমুন নাহার মলি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন যাহাতে ঐ প্রতারকের কাছ থেকে তাদের টাকা উদ্ধার করতে পারেন । এবং ঐ প্রতারক চক্র পরিবারের সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।