যশোরের মণিরামপুরের পল্লীতে শরিকি জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরধরে একটি অসহায় পরিবারকে মারপিট, রান্নাঘরে আগুন দেওয়া ও পাঁচটি মেহগনি গাছ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আলম দফাদার ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আলতাফ দফাদারের স্ত্রী নাসিমা বেগম, আলম দফাদার ও তার পরিবারের সাত জনকে অভিযুক্ত করে সম্প্রতি মণিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের গাংগুলিয়া গ্রামে এঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী অসহায় আলতাফ দফাদার ও স্ত্রী নাসিমা বেগমের দায়েরকৃত অভিযোগের বিবরন সূত্রে ও তাদের ভাষ্যমতে জানাগেছে, আলম দফাদারের সাথে বসতবাড়ির শরিকি জমি নিয়ে তাদেয বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। এই জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে অভিযুক্ত পরিবার প্রায়ই আমাদের মারপিট করে এবং বসত বাড়িতে আগুন দিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে আসছে। ক’দিন আগে আমার রান্না ঘরে আগুন দিয়েছে এবং আমার পাঁচটি মেহগনি গাছ কেটে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। গাছ কেটে ক্ষতি করার ঘটনাটি স্থানীয় অনেকেই দেখেছে। কিন্তু প্রতিবাদ করার সাহস পাইনি। এসব ঘটনায় স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য বলাবলী করলে, অভিযুক্তরা গত ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আমাদেরকে বেধম মারপিট করে নিলাফোলা জখম করে। এক পর্যায় আমরা গাংগুলিয়া বাজারের স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিকটে যায়। তারা ঘটনাটি মিমাংসা করেদেবে বলে আশ্বস্ত করেন।এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম এতিম বলেন, ঘটনাটি আমি জানি। কিন্তু এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আলম দফাদারের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী পরিবারটি আরও জানিয়েছেন, আমাদের রান্নাঘরে আগুন দেয়ায়, রান্নাঘরে থাকা চালসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। এরপর থেকে আমরা অর্ধাহারে দিনকাটাচ্ছি এবং চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বললেও, তারা আসছে না। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবী করছি।