পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলা থানাধীন ডাকুয়া ইউনিয়ন ছোটচত্রা গ্রামের, স্বর্গীয় নিধুরাম চন্দ্র ভুঁইয়া বাড়ি, এই বাসন্তীপূজা টা পালিত হয়েছে প্রায় ৭০ বছর আগে পযন্ত। এই বছরে শুধু নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাসন্তী পূজা।গত সোমবার মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।আগামী ৩১ শে মার্চ বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাসন্তী পূজা। বাসন্তী পূজা উপলক্ষে গলাচিপা উপজেলার ১০ থেকে ১২ টি পূজামণ্ডপে নানান ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়েছে।
গলাচিপা উপজেলা ডাকুয়া ইউনিয়ন ছোটচত্রা গ্রামের স্বর্গীয় নিধুরাম বাড়ির পূজামণ্ডপ একই গ্রামের পূজামণ্ডপ এবং স্বজনগ্রাম সার্বজনীন বাসন্তী দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।হিন্দু শাস্ত্রানুযায়ী জানা যায়, চৈত্র মাসে হয় বাসন্তী পূজা। এটিও দুর্গাপূজার নামান্তর মাত্র । আশ্বিন ও চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষে দুর্গাপূজা করা হয়। আশ্বিন মাসের দুর্গাপূজা শারদীয়া দুর্গোৎসব এবং চৈত্র মাসের দুর্গাপূজা বাসন্তীপূজা নামে পরিচিত।
অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য কালে কালে বহু মানুষ আদ্যাশক্তির আরাধনা করেছেন। রামায়ণ থেকে জানা যায়, রামচন্দ্র শরৎকালে অশুভ শক্তির বিনাশের উদ্দেশ্যে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। এটি ছিল অকালবোধন। আবার পুরাণ অনুযায়ী, চন্দ্র বংশীয় রাজা সুরথ এবং সমাধি বৈশ্য মিলে মেধস মুনির আশ্রমে বসন্তকালে দেবী দুর্গার পূজা করেন। যা বাসন্তী পূজা নামে প্রসিদ্ধ।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা ডাকুয়া ইউনিয়ন ছোটচত্রা নিধুরাম ভূইয়া পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে জানান তারা তাদের ব্যক্তিগত এমনকি বার্ষিক বাসন্তী পূজা এটা কোন সরকারের নাই কোন অনুদান নাই কোন প্রশাসনিক নজর বছরের পরে বছর কাটিয়া আসছে পূর্ব পুরুষ ঐতিহ্য থাকে তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছি । যাতে এই পূজা মন্ডপে অনুদান পাওয়া যায়। এমনকি সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করছি ভুঁইয়া পরিবারের বাসন্তী পূজাটা দীর্ঘদিন নাম থাকবে। পূজা উদযাপন জানান, চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত পূজাই হচ্ছে আদি দুর্গাপূজা। তবে বর্তমানে আশ্বিন মাসে শারদীয় দুর্গাপূজাই বেশি জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।