হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নে গৃহ নির্মাণ নিয়ে হিন্দু পরিবারের উপর আতংকিত হামলা চালায় পার্শ্ববর্তী লনি মিয়া ফকির,হামলায় আহত শ্যামল চন্দ্র ও তাহার সহধর্মিণী সীপ্রা রানী হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায় গত ২৫’শে মার্চ হাইমচর উপজেলার ৬নং চরভৈরবী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কৃষি ব্যাংক সংলগ্নে নিজস্ব ভূমিতে গৃহ নির্মাণ করছিলেন শ্যামল চন্দ্র বৈধ্য(৫৫)এসময় পার্শ্ববর্তী লনি মিয়া ফকির তাহার গৃহ নির্মাণের কাজে বাঁধ প্রধান করেন এবং মারধর করেন,লনি মিয়া ফকির ও তাহার ছেলেরা।
শেমল চন্দ্র বলেন,আমার নিজস্ব ভূমিতে আমি বসৎ ঘর নির্মানের সময় বাঁধা প্রধান করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়,এসময় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার মেম্বার এর মধ্যস্তায় গৃন নির্মাণের স্থান পরিবর্তন করে কাজ শুরু করার কথা বলেন মেম্বারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমার কাজ করছিলাম।
প্রতিপক্ষ স্থানীয় প্রভাবশালী ও মুসলিম পরিবারের হওয়ায় অন্যায়ভাবে লনি মিয়া ফকির পুনরায় আমার কাজে বাঁধা দেয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন,আমরা জবাব দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়।এসময় আমি ও আমার স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আমাদের মাধধর করে এতে আমরা গুরুতর ভাবে আঘাত করে ।
সীপ্রা রানী বলেন,,হামলা কারিরা কোনপ্রকার নিয়মের তোয়াক্কা না করে,আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্বল সংখ্যালগু পরিবার বলে আমাদের এমনভাবে মারধর করে।আমরা আমাদের ক্রয়কৃত জমির উপর বাড়ি করতে গেলে বাঁধা প্রধান করে এবং এলোপাতাড়ি লনি মিয়া ফকির ও তাহার ছেলেরা ফিল্মি কায়দায় আমাদের মারধর করে।
এই বিষয়ে হাইমচর থানায় শেমল চন্দ্র বৈধ্য বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন,তদন্ত অফিসার এস আই খোরশেদ বলেন,অভিযোগ টি আমরা পেয়েছি এবং অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে সঠিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেমল ও তাহার স্ত্রীর বলেন, দখল বাজদের সকলকে আইনের আওতায় এতে বিচার করা হোক আইনের কাছে আমাদের দাবী হিন্দু হলেও আমরা বাংলাদেশের নাগরিক,নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের প্রত্যাশা করছি আমরা।