পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার চাঞ্চল্যকর দুই শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনার সৈকত (১৪) ও সিফাত (১৪) নামের দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৩.০৩.২৩ইং তারিখ রোজ বৃহসপতিবার দিবাগত ভোর রাতে সৈকত এবং সকালে নিজ বাড়ি থেকে সিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর হয় । এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার ভোর রাতে সৈকতকে ভোলা জেলার চর বোরহানউদ্দিনের তরমুজ ক্ষেত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সৈকত ইন্দ্রকুল গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত সৈকতের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সূযর্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকুল গ্রামের তার নিজ বাড়ি থেকে অপর আসামী সিফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিফাত ওই গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। এর আগে নাফিসের মা নার্গিস বেগম বাদি হয়ে সৈকত ও সিফাতসহ ৬জনকে আসামী করে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত অপর আরও ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২২ মার্চ) বাউফলের সূর্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রণির শিক্ষার্থী মারুফ(১৫), নাফিস (১৬) ও সিয়াম (১৫) ওই বিদ্যালয়ের ছুটির পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ি যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির ছাত্র নাইম, রায়হান, হাসিবুল, সৈকত ও সিফাতের হাতে ছুরিকাহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে বাউফল হাসপাতালে ও পরে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মারুফ ও নাফিস মারা যায়।
পায়ে পা লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড ঘটনো হয়।
নিহতদের ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকালে গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়। কিশোর গ্যাংয়ের হাতে এ জোড়া খুনের ঘটনা গোটা বাউফলে চাঞ্চলের সৃষ্ট হয়।
এব্যপারে সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) মো. শাহেদ আহম্মেদ চৌধূরী ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে আমরা ২জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদের খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করে অইনের আওতায় আনা হবে।
কহিনুর বেগম
বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।
২৪/০৩/২৩