, পটুয়াখালী সিনিয়র ও জুনিয়র দ্বন্দ্বে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ছুরির আঘাতে দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। আদরের সন্তানকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ মা-বাবা। শুধু নিহতের স্বজনরা নয় সহপাঠী বন্ধুরাও শোকাহত।
গতকাল বুধবার (২২শে মার্চ) সকালে বিদ্যালয়ের এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে পায়ে সাইকেলের চাকা পা লাগাকে কেন্দ্র করে একে অপরকে চর থাপ্পড় মারে। এর জেরে স্কুল ছুটির পর স্কুল সংলগ্ন ব্রীজের কাছে ৯ম শ্রেণির রায়হান গ্যাংরা ১০ম শ্রেণীর মারুফ, সিয়াম এবং নাফিসকে বাড়িতে যাওয়ার পথে তাদের ছুরিকাঘাত করে। এতে তিনজন গুরুতর জখম হয়ে আহত হন।
নাফিস ও মারুফ কে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হলে যাওয়ার পথে তারা মারা যান। আর সিয়াম বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩শে মার্চ) পোস্টমর্টেম শেষে আছর বাদ ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জানাজা নামাজ শেষে নিজ নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলাম। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফুসে ওঠেছে। আমরাও জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করছি। শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় এক দিনের শোক পালিত হচ্ছে স্কুল জুড়ে।
এদিকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের হারিয়ে দিশেহারা পুরো বিদ্যালয়। খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।
নিহতের মা ও স্বজনদের মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি স্বজনদের।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, শিক্ষার্থী খুনের ঘটনার খবর শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছি। বিভিন্ন টিম মাঠে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, এঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।