কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম আজিজ উল্ল্যাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক কাশেম কর্তৃক লাঞ্ছিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (২২মার্চ) সকালে অসুস্থ আজিজুল হক কাশেমকে দেখতে তার বাড়ী যাওয়ার পর এস.এম আজিজ উল্ল্যাহকে লাঞ্ছিত করে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন কাশেম।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক কাশেম বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৮ মার্চ শনিবার বাদ মাগরিব হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আইসিইউতে প্রেরণ করেন। ওইদিন অনেক নেতাকর্মীরা তাকে দেখতে হাসপাতালে গেলেও তার সভাপতি এস.এম আজিজ উল্যাহ তাকে দেখতে না গিয়ে ওই দিন দিবাগত রাত ১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে পিকনিকে চলে যায়। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরলেও আজ বুধবার সকালে আমাকে দেখতে আমার বাড়ি আসেন। এর মধ্যে আমার কোন খোঁজ খবর নেননি তিনি। এছাড়া আজিজ উল্ল্যাহ নিজেকে আওয়ামী লীগের বংশধর দাবী করে ইউনিয়নের অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বিএনপি রাজাকার আখ্যায়িত করে নিজেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন। আজিজুল হক কাশেম ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, বিগত নির্বাচনে তার কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে এস.এম আজিজ উল্ল্যাহর নির্বাচন করে নৌকা মার্কাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করান।নৌকার বিজয় আনতে তার শ্রম ঘামের কোন মূল্য দেননি আজিজ উল্ল্যাহ। বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির চেয়ে বিএনপির রাজনীতিকে সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দেন আজিজ উল্ল্যাহ। তাই তিনি আশংকা করছেন আজিজ উল্ল্যাহ’র কারনে আগামী সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনকে ফরিদপুর ইউনিয়ন থেকে বিজয়ী করতে হিমশিম খেতে হবে তাদের।
এব্যাপারে বুধবার বিকাল তিনটার দিকে ফরিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম আজিজ উল্ল্যাহর সাথে দেখা করতে ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে পরিষদ বন্ধ থাকায় তার সাথে দেখা করা কিংবা যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার সময় সভাপতির সাথে থাকা বাবুল মেম্বার বলেন, ওই সময় তিনি চেয়ারম্যানের সাথেই ছিলেন। রাগ অভিমান থেকে চেয়ারম্যানের সাথে আজিজুল হক কাশেমের একটু রাগারাগি হয়েছে।