লক্ষ্মীপুর জেলাতে রমজানকে ঘিরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামহীনে নিম্ম-মধ্য বিত্ত মানুষের কপালে দুঃচিন্তার ভাজ দেখা যাচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রসাশনের কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের প্রত্যাশা নিয়ে সময় সংবাদ ও দৈনিক বাংলার অধিকার লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি সোহেল হোসেনের লেখা পাঠকদের জন্য ফেসবুক থেকে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলাসহ সারাদেশের বাজারে উত্তাপ। রমজানকে ঘিরে পুরনো রীতিতে ব্যবসায়ীরা নড়েচড়ে বসেছেন। অর্থলোভী অসাধুদের মতলবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামহীন। বলা চলে, এখন প্রতিদিনই বাড়ছে। কমার তালিকায় নেই একটি পণ্যও!
বাজার বাস্তবতায় মধ্য ও নিম্ম-মধ্য বিত্ত মানুষ হাঁসফাঁস করছেন। দামের চোটে অস্থির ক্রেতারা। রমজানের আগেই তাঁদের কপালে দুঃচিন্তার ভাজ। চোখে-মুখে যেন অন্ধকার। সবশেষ ব্রয়লার মুরগিও নাগালের অনেক বাহিরে।
ভবিষ্যত ভাবনায়- একটু একটু করে জমানো অর্থেও হাত পড়েছে মধ্য-নিম্মবিত্তের মানুষের। টানাটানির সংসারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ধার-দেনা। ইচ্ছে এবং পরিবারের আবদার থাকলেও পাতে উঠছে না মাছ, মাংসসহ সুস্বাধু খাবার। প্রায় সবারই কাটছাঁট হচ্ছে বাজার তালিকা। খরচ বাঁচাতে কম দামি পণ্যে ক্রেতারা নজর দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে জীবনযাত্রা ব্যয়ের সঙ্গে সমানতালে বাড়ছে কষ্ট। এছাড়াও আছে নানা ঝক্কি-ঝামেলাও ।
এই অবস্থায় বাজার নৈরাজ্য থেকে মুক্তি পেতে আকুতি সবার। কিন্তু কে করবেন সার্বক্ষণিক বাজার-দর তদারকি? আমরা লোক-দেখানো বা নিয়ম রক্ষার অভিযান নয়, কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের প্রত্যাশা রাখছি। এতে কিছুটা হলেও জনমনে স্বস্তি ফিরবে।