মহান স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে আরব আমিরাতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, অভ্যাগত অতিথিদের সম্মান জানিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাস। আসন্ন পবিত্র রমজানের কারণে বার্ষিক এ অনুষ্ঠানটি ৭ মার্চ করা হয়েছে।
গত (৭ মার্চ) রাতে দেশটির রাজধানী আবুধাবিস্থ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দার আল ইসতিকবাল হলে এ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে রাষ্ট্রদূত আমিরাতের মন্ত্রী ও কূটনীতিকদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কেক কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল গভর্নমেন্টের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রতিমন্ত্রী আহমেদ বিন আলি আল সায়েঘ। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা ও আমিরাতে নিযুক্ত ১০০টিরও অধিক দেশের কুটনৈতিক মিশন প্রধানগণসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী সালমা জাফর, দুবাইস্থ বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন, দুবাই বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি মাহতাবুর রহমান নাসের, সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী বাবুল, আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান মিজানুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইমরাদ হোসেন ইমু, সাধারণ সম্পাদক নাসির তালুকদার, বাংলাদেশ সমিতি ইউএই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত আকবর, দুবাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবু জাফর, সারজাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি মো. আবুল বাশার, সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল গনি চৌধুরীসহ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিমান, জনতা ব্যাংক, আবুধাবি দূতাবাস ও দুবাই কন্সুলেটের কর্মকর্তাগণ এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও মিডিয়া কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এতে রাষ্ট্রদূত অভ্যাগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন,‘১৯৭৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সফরের মধ্য দিয়ে আমিরাতের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের যে গোড়াপত্তন ঘটেছিল, দুই জাতির জনকের মধ্যকার ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের পথ ধরে তার ব্যাপ্তি ঘটে। ইউএই এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী। আমরা ২০২৪ সালে আমাদের দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মৈত্রীর ৫০তম বার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘সবার সাথে বন্ধুত্বের নীতিতে অবিচল বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে ভিশন-২০২১ অর্জনের পর এখন ভিশন ২০৪১ ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।’