লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
ভুয়া উইল নামা তৈরী করে মৃত মুুক্তিযোদ্ধা কাজন কারিÍ দাসের সরকারী ভাতা, জমি, দোকান ঘর দখল নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মনিকা দাসের বিরুদ্ধে। উইলের উল্লেখিত বর্ননা অনুযায়ী সবকিছু দখল নিতে আদালত, জেলাপ্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে বলে জানা যায়। মৃত মুক্তিযোদ্ধা কাজল কান্তির স্বাক্ষর জাল করে এধরনে ভুয়া উইল তৈরীতে দুইজন মুক্তিযোদ্ধার সহযোগীতা থাকায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কি স্বার্থে লক্ষ্মীপুরের সুনামধণ্য দুইজন মুক্তিযোদ্ধা এধরনের কাজে সহযোগীতা করলো তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ভুয়া উইল তৈরীতে সহযোগীতাকারী তিনজন স্বাক্ষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থ্যা নেওয়ার কথা জানান ভুক্তভুগী পরিবার।
ভুক্তিভুগি পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কাজল কান্তি দাসের বাবা ক্ষিতিশ চন্ত্র দাস ১৯৭৮ সালে ৭৫ নং সমসেরাবাদ মৌজার ১০৩৩ দাগের ৪৮ শতাংশ ভিপি সম্পত্তি ভোগ দখলে থেকে মালিকা দাবী করে আদালতে মামলা করে। সেই মামলা রায়-আপীলের পর এখন প্রায় নিস্পত্তির শেষ পর্যয়ে। ক্ষিতিশ দাসের মৃত্যুও পর তার তিন ছেলে কাজল কান্তি দাস, খোকন দাস ও সংগ্রাম দাস মামলায় পক্ষ হয়। ইতিমধ্যে খোকন দাসের মৃত্যু হয়। এর কয়েক বছর পর বেশ কিছু দেনা রাখিয়া অবিবাহিত থাকিয়া মুক্তিযোদ্ধা কাজল কান্তি দাস মৃত্যু বরণ করে। তার মৃত্যুও পর পারিবারিক ও সামাজিক বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন উৎসের সম্বনয়ে সময় সাপেক্ষে তার দেনাপাওনার পরিশোধনের সিদ্বান্ত হয়। মৃত খোকন দাসের স্ত্রী মনিকা দাস ২০২২ সালে ডিসেম্বর মাসে মৃত কাজল কান্তি দাসের জাল স্বাাক্ষরিত একটি উইল নামা দথল বুঝিয়া নিতে আদালতে মামলা করে। উইল নামায় দেখা যায়, ২১/১২/২০১৭ সালে দলিল লেখক হামিদ উল্যা, সনদ নং ২৪৪০ দ্বারা এই উইল নামা তৈরী করা হয়। যেখানে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা ও মনিকা দাসের বাবা স্বাক্ষী রয়েছেন। অথচ আর্চায্যের বিয়য় হলো, এই উইল নামা তৈরীর প্রায় ৩ মাস আগেই লেখক হামিদ উল্যা মৃত্যু বরন করেন। যার কারনে স্বাবাভিক ভাবেই বুঝা যায় এই উইল নামা ভুয়া। কাজল কান্তি দাসের মৃত্যুও প্রায় ৫ বছর পর এই ধরনের ভুয়া উইল কথা শুনে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তিভুগি পরিবারসহ এলাকাবাসীর দাবী এই ধরনের ভুয়া উইল তৈরীতে যারা স্বাক্ষী হয়েছে এবং যারা সহযোগীতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা নুরেরজামান মাষ্টারের সাথে কথা বলতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।