পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় চরম আকার ধারণ করেছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই। সাধারণ থেকে অসাধারন, ব্যবসায়ী, অটোচালকদের ঘুম কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে দিনরাত কাটছে তাদের।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক সাধারণ মানুষ জানান, চুরি ছ্যাচরামিতে ভরে গেছে বাউফল। কখনো ঘর চুরি, গরু ছাগল মহিষ চুরি, আবার কখনো ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটেই চলছে। এতে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনের যেন নেই কোনও মাথা ব্যাথা। এতে চরমে দেখা দিয়েছে আইন শৃঙ্খলার অবনতি।
অটোচালকরা জানান, আমরা কেউ ঋন নিয়ে, আবার কেউ শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে, আবার কেউ বেকার বসে আছি তাই অটোগাড়ি কিনে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। রোডেঘাটে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া এখন ঝুকিপূর্ণ হয়ে গেছে। ছিনতাইকারীরা সুকৌশলে গাড়ি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। চরম আকারে দেখা দিয়েছে ছিনতাইকারীদের একটি সক্রিয় সংঘবদ্ধ দলের। এ পর্যন্ত অনেকে গাড়ি খুইয়েছে। আবার রাতের গভীরে গ্রেজ থেকে তালা ভেঙে গাড়ি সহ আবার ব্যাটারি চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে চেয়ারম্যান বা মেম্বারদের কাছে কিংবা থানায় অভিযোগ করে কোনও ফল পাওয়া যায় না। যেন তারা দেখেও না দেখার ভান করে আসছেন। আজকে আইন শৃঙ্খলার অবনতির কারনে এমনটাই ঘটে চলেছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত। আমরা অটোচালকরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক দায়িত্ব পালন করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এদিকে সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ রাজনৈতিক লোকজন জানান, বাউফল উপজেলায় এখন যেভাবে চুরি ছ্যাচরামি, ডাকাতি, ছিনতাই হচ্ছে তাতে আমরা সাধারণ মানুষ হতবাক। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে মাদক কারবারিদের সিন্ডিকেটে পুরো বাউফল উপজেলা। আমাদের মনে হয় মাদক কারবারি কর্তৃক এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। আতঙ্কে আছি সর্বস্তরের মানুষ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক ভাবে তদারকি ও দায়িত্ব পালন করলে এমন কাজ করতে কেউ পারেনা এটা আমরা বিশ্বাস করি। আমরা আশা করবো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক ভাবে তার দায়িত্ব পালন করবে, শান্তিতে থাকব আমরা।
তারা আরও জানান, চেয়ারম্যান মেম্বারদের কথা বলে কোনও লাভ নেই। তারা যদি সঠিক তদারকি করে তাহলে তার ইউনিয়নে বা ওয়ার্ডে কিভাবে চুরি ছ্যাচরামি হয়। জনপ্রতিনিধি হয়ে যেন তার জনগণের প্রতি কোনও খেয়াল নেই। সাধারণ একটু শান্তি চায়, শান্তিতে ঘুমাতে চায়। আশা করি এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা খেয়াল রাখবেন।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, আসলেই আমাদের বাউফল উপজেলায় ইদানীং চুরি ছিনতাই প্রখর আকার ধারণ করেছে। যা উদ্বেগজনক। তবে এব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদি একটু কঠোর আকারে নজর দেন তাহলে এগুলো রোধ করা সম্ভব।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, ছিনতাই এর কোনও অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে চুরি, ডাকাতির ব্যাপারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এবং চিহ্নিতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এবিষয়ে বাউফল সার্কেলের এসপি সাহেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এব্যাপারে ততপর রয়েছে।