নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় কুড়িগ্রাম পৌরসভা কার্যালয়ের মূল ভবনের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) কর্তৃপক্ষ পৌর ভবনের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। নেসকো, কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিমুল ইসলাম সেলিম এবং কুড়িগ্রামের পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নেসকো সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম পৌরসভার বিভিন্ন খাতে মোট ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে পৌর ভবনের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় ৬ লাখ টাকা। এমনকি ওই ভবনের মিটারও ছয় মাস ধরে বিকল। নোটিশ করার পরও পৌর কর্তৃপক্ষ মিটার পরিবর্তন করেনি। এ ছাড়া বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও তারা বকেয়া বিল পরিশোধ করেনি। এ অবস্থায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে পৌর ভবনের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে নেসকো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম পৌরসভার মূল ভবন, পৌর অডিটোরিয়াম, পানি পরিশোধনাগার, বাসস্ট্যান্ড ও সড়কবাতিসহ বিদ্যুৎ সংযোগের অন্তত ২২টি হিসাব নম্বর রয়েছে। এসব হিসাব নম্বরের কোনোটিতেই নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয় না। ফলে বিগত মেয়রের সময় থেকে শুরু করে গত কয়েক বছরে ৪ কোটিরও বেশি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ এই বকেয়া বিল পরিশোধ করতে পারছে না বলে জানা গেছে।
পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে অক্ষমতার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘পৌরবাসী পানির বিলসহ বিভিন্ন সেবা খাতের বিল নিয়মিত পরিশোধ করছে না। রাজস্ব সংকটে পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। তবে আমরা গত মাসেও তিন লাখ টাকা বিল জমা করেছি। দ্রুত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে সংযোগ লাইন চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নেসকো, কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিমুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘নেসকো, কুড়িগ্রামের আওতাভুক্ত সেবাগ্রহীতা সব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিল হালনাগাদ রয়েছে। শুধু পৌরসভায় কয়েক কোটি টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। আমরা বারবার তাগিদ দিলেও পৌর কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধ করছে না। এ অবস্থায় আমাদের প্রধান কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে কুড়িগ্রাম পৌর ভবনের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তারা বিল পরিশোধ করলে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হবে।’