জমিজমা বিরোধের জের ধরে ব্যাংকার মো.আব্দুর রব একদল সন্ত্রাসী ভাড়া করে স্বয়ং নিজে উপস্থিত থেকে মৃত আব্দুল মালেক মুক্তারের ছেলে দলিল লেখক মো.মাসুদ মিয়াজীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত যখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২২ ফ্রেব্রয়ারি’২৩ খ্রিঃ আনুমানিক সকাল ৮টায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওতপেতে থাকা ব্যাংকার আঃ রব তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী দলসহ ঘাগরা বাজার সোহেলের দোকানে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত মাসুদ মিয়াজীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে রক্তাক্ত যখম অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বর্তমানে তিনি নিজ বাড়িতে বিশ্রামে আছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার পরিবারের লোকজন।।
এদিকে দলিল লিখক মাসুদ মিজির ওপর একজন ব্যাংকার (আঃ রব) এধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের মুখে মুখে একটাই বুলি শোনা যাচ্ছে একজন চাকুরীজীবি হয়ে কিভাবে সন্ত্রাসী ভাড়া করে ফিলিমি স্টাইলের স্বশরীরে উপস্থিত থেকে এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটালেন তিনি! এরকম একজন সন্ত্রাসী কিভাবে ব্যাংকে চাকরি করে! এরকমটাই বলাবলি করছে স্থানীয়রা।
ঘটনার বিবরণে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, মৃত আকিজ উদ্দিন এর ছেলের জিয়াউল হক (সম্পর্কে চাচা) এর সাথে জমিজমা নিয়ে ওই সন্ত্রাসী আঃ রব এর দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল এবং বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে মাসুদ মিজি নিজে উপস্থিত থেকে মীমাংসা করে দিলে ওহামলার ব্যর্থ চেষ্টা চালায। এক পর্যায়ে গত ২২ ফ্রেব্রুয়ারি’২৩ খ্রিঃ সকাল বেলা ঘাগড়া বাজারে সোহেলের দোকানে ভিতরে আঃ রব ও তার বাড়াটে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে মাসুদ মিজির উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত যখম করে তার সাথে থাকা ব্যবসায়িক ১লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা আর আমার ডাক চিৎকারে বাজারে লোকজন এগিয়ে আসলে তারা প্রকাশ্যে মাসুদকে প্রাণনাশের হুমকিসহ লাশ গুম করে ফেলবে বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ বা মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন মামলার প্রস্তুতি চলছে।