মিরু হাসান বগুড়া জেলা সংবাদদাতা
বগুড়ার নন্দীগ্রামে শিশু মুনিম হোসেন (৪) হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামি হলেন উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের আনসার আলী প্রামানিকের ছেলে আমিনুল ইসলাম (২০)।
শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম শনিবার বেলা ১২টার দিকে নন্দীগ্রাম থানায় সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) নিহত ওই শিশুর বাবা ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে হত্যার ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল ৮টার দিকে মুনিম বাড়ি থেকে খেলার জন্য বেরিয়ে যায়। মুনিমকে খাওয়ানোর জন্য মা-বোন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দুরে ভোরাট পরিত্যাক্ত মলত্যগের কুয়ার মধ্য বড় বোন তাবাসসুম মুনিমের পা দেখে চিৎকার দেয়। পরে প্রতিবেশীরা এসে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। এসময় মুনিমের শরীর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই ভোরাট কুয়ায় তাঁর লাশ রেখে বিভিন্ন লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এটি একটি ক্লুলেস হত্যা ছিল। বাদীর প্রতিবেশী আনসার আলীর ছেলে আমিনুল তার পূর্বের মনস্তাত্ত্বিক ক্ষোভের বহিরপ্রকাশ হিসাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমিনুলদের সাথে প্রতিবেশী আশরাফদের বিভিন্ন বিষয়ে পারিবারিক বিরোধ ছিল। মুনিমের বাবা ইদ্রিস আলী আশরাফদের পক্ষে থাকার কারণে আমিনুল ইসলাম ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মুনিমকে হত্যা করে।
তিনি আরো বলেন, ‘এ হত্যার সাথে আর কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় নেওয়া হবে।