বগুড়ার শিবগঞ্জে দাফনের ১৪ দিন পর এক গৃহবধূর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের আতাহার গ্রাম থেকে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
নিহত গৃহবধূর নাম নাদিরা বেগম। আতাহার গ্রামের হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী নাদিরা গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে মারা যান। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিল।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিল জানান, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ তোলা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, এজাহার সূত্রে জানা যায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে নাদিরা বেগম মারা যান। এ সময় স্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করে মরদেহ নাদিরার স্বামীর নেতৃত্বে দ্রুত দাফন করেন স্থানীয়রা। পরে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বাভাবিক দাবি করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন নাদিরার চাচাতো ভাই সাইদুর রহমান।
মামলায় নাদিরার স্বামী হেলাল উদ্দিনসহ তিন জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় আদালত ৯ ফেব্রুয়ারি নাদিরার মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিলের উপস্থিতিতে মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়।
মামলার বাদী সাইদুর রহমান জানান, ‘তার বোনের মরদেহে জখমের চিহ্ন ও হাতের নখ কোঁকড়ানো ছিল। এ থেকে বোঝা যায় তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
মরদেহ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল আলম, আটমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।