মোঃ বাবু রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সুস্বজ্জিত, শৃঙ্খলাবদ্ধ। জনগণের জান মালের হেফাজতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ অবদান রাখেন এই নগরীতে। সেখানে কতিপয় কিছু অসৎ অসাধু পুলিশ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য হয়রানি মিথ্যা মামলার ভয়ভূতি দেখিয়ে জিম্মি করে আসামির পরিবারের কাছে অবলীলায় আদায় করছে উৎকোচ।
শিক্ষা নগরী, শান্তির নগরী ও সুস্বাস্থের নগরী রাজশাহী। রাজশাহী নগরীর মানুষ শান্তি প্রিয় এই শান্তি প্রিয় মানুষকে অশান্ত ও আতঙ্কিত করে তুলেছে নগরীর রাজপাড়া থানায় কর্মরত এ এস আই মজনু ও তার বিস্বস্ত সঙ্গীয় ফোর্স।
মজনু আতঙ্কে আতঙ্কিত নগরবাসী। কখন যেন কি হয় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পরিবার কে ব্ল্যাকমিল করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায় একাধিক ভুক্তভোগীদের কাছে।
এ এস আই মজনুর ভয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত সঙ্গীয় ফোর্সের সাথে দেখলে হয় জড়সড়। ঘুষ আদায় যেন নেশায় পরিনত হয়েছে মজনু মিয়ার ও তার নৈতিক অধিকার ও বলা যায় বটে। ঘুষ আদায়ের টেকনিক যেন আলোচিত সেই ওসি প্রদীপ কেউ হার মানায় এ এস আই মজনু বাহিনী। এমনই সব তথ্য প্রমানে উঠে এসেছে অনুসন্ধানী টিমের হাতে। ফুটে উটেছে মজনু মিয়ার সকল অপকর্ম।
অনুসন্ধানে জানা যায়
(১) গত ২১/০৬/২২ ইং তারিখে লক্ষীপুর আইডি বাগান পাড়ার আশা কে সন্দেহ মূলক ভাবে ধরে থানায় নিয়ে এসে তার স্বামী বাপ্পিকে ফোন করে থানায় ডেকে পাঠায়। পরে বাপ্পি তার শ্বশুড়ি সহ থানায় এসে মজনু মিয়ার সাথে দেখা করলে মজনু মিয়া আড়াই লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করে এবং বলে ঘুষের টাকা না দিলে আশাকে ২০০ গ্রাম হেরোইন দিয়ে চালান করবো। শুরু হয় দর কষাকসি। দফারফা হয় ১,৬০,০০০/= টাকায়। সেই ঘুষের টাকা আশার মা রাজশাহী নগরীর ট্রাফিক অফিসের সামনে প্রদান করে এ এস আই মজনু মিয়ার হাতে। টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও মজনু মিয়া আশাকে না ছেড়ে ১০০ গ্রাম গাঁজার মামলা দিয়ে চালান করেন।
(২) গত ২২/০৯/২২ ইং তারিখে নগরীর রাজপাড়া থানাধীন দাসপুকুর এলাকার সোহাগ, পিতা- নবী কে ধরে নিয়ে আসে। আসার সময় এলাকা বাসী কি কারণে ধরেছেন জানতে চাইলে মজনু মিয়া বলে বাড়ি কেনার জন্য জমি কিনবো সোহাগ জমিটা চেনে সে জন্য জমি দেখতে যাচ্ছি বলে থানায় নিয়ে এসে অভ্যর্থনা কক্ষে বসিয়ে সোহাগের বাবার মোবাইলে ফোন করে বলে আপনি থানায় আসেন আপনার ছেলেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন সহ ধরেছি। সোহাগের পিতা থানায় আসলে মজনু ১,০০,০০০/= ঘুষ দাবি করে অন্যথায় ১০০ গ্রাম হেরোইন দিয়ে মামলা দিবে। অসহায় সোহাগের পিতা তার পুত্র বধুর সোনার গহনা বিক্রি করে ৫৫,০০০/= টাকা মজনু মিয়াকে প্রদান করে তার ছেলে সোহাগকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
উক্ত বিষয়ে এ এস আই মজনু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সব জানেন। এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না। উৎকোজ গ্রহণ করে উদ্ধতন কর্মকর্তার গায়ে চাপিয়ে দিয়েই নিজেকে বাঁচাতে চায় এ এস আই মজনু ও সঙ্গীও ফোর্স।
দ্বিতীয় পর্বে চোখ রাখুনঃ
খুব শীঘ্রই আসছে দ্বিতীয় পর্বে এ এস আই মজনু ও সঙ্গীও ফোর্সের ঘুস বাণিজ্যের নেথ্য কাহিনি।