একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে।
একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। দিয়ারবাকির, তুরস্কছবি: রয়টার্স
শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৩ হাজার ৮০০–এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এসব মানুষের বেশির ভাগই ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীদের অভিযান চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমাচ্ছিলেন।
ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশুকে বের করা আনা হচ্ছে।
ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশুকে বের করা আনা হচ্ছে। জান্দারিস, সিরিয়াছবি: এএফপি
সংস্থাটি আরও জানায়, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাসহ দেশটির অন্যান্য শহরে এবং পার্শ্ববর্তী সিরিয়াসহ প্রতিবেশী দেশ লেবানন, সাইপ্রাস, ইসরায়েলেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। এরপর কয়েকবার পরাঘাত আঘাত হানে। এগুলোর মধ্যে একটি ছিল ৬ দশমিক ৪ ও একটি ৬ দশমিক ৫ মাত্রার।
ভূমিকম্পে তুরস্কের ২ হাজার ৩৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শহরে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে বাদ সেধেছে প্রতিকূল আবহাওয়া। শীতকালীন তুষারঝড়ের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তুষারে অনেক সড়ক ঢেকে গেছে।
দেশটির সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পে তুরস্কে আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪৮৩ জন। দেশটিতে ভূমিকম্পের সময় ও তার পরে ৪ হাজার ৭৪৮টি ভবন ভেঙে পড়েছে। এ ঘটনায় তুরস্কে দুর্যোগকালীন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটি ৮৪ বছরের মধ্যে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প দেখেনি।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, তুরস্কে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো কাহরামানমারাস, গাজিয়ানতেপ, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির, আদানা, আদিয়ামান, মালত্য, ওসমানিয়ে, হাতায় ও কিলিস। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ভূমিকম্পে হতাহতদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করে এই বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন