কয়েকযুগ ধরে প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষভাবে অবদান রেখে আসছে।এই অবদানকে আরও ত্বরান্বিত করার জন্য বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার ঐক্য পরিষদ বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে সমগ্র বিশ্বে। তাছাড়া বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার ঐক্য পরিষদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের মানবিক, সামাজিক, অধিকারভিওিক কাজসহ প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন গঠনমূলক কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার ঐক্য পরিষদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিটি আমিরাতে নতুন করে আহবায়ক কমিটি গঠন করেছে এবং মালয়েশিয়া, সৌদিআরব, ওমান, কাতার, বাহারাইনে কেন্দ্রীয় কমিটি সহ ১৮ টি অধিক দেশে সমন্বয়ক কমিটি কাজ করছে, যা ভবিষ্যতে বিশ্বের সকল প্রবাসীদের অনেক সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত আবেদনগুলো যুক্তিযুক্ত বলে মনে করে, যেমনঃ
১. কুটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবৈধ প্রবাসী শ্রমিকদের জরিমানা মওকুফসহ সহজ শর্তে বৈধতা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা।
২. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে বহির্গমন যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেয়া ও হয়রানি বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানকে লাগেজ হ্যেন্ডলিংয়ের দায়িত্ব দেয়া।
৩. বোর্ডিংয়ের সময় যাত্রীদের এয়ারলাইন্স কর্মীদের অনানুসাংগিক প্রশ্ন থেকে বিরত থাকা এবং ভদ্র আচরণ প্রগ্যাপন জারি করা।
৪. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমনী যাত্রিদের ল্যাগেজ কেটে পন্য চুরি বন্ধ করা ও ল্যাগেজ সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধ করা।
৫. ভ্রমণ ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যারা বিদেশে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছে তাদেরকে উপযুক্ত প্রমাণসহ প্রতারক বা দালালকে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহন করা।
৬. বাংলাদেশ থেকে যারা বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ বা কাজের জন্য অন্য দেশে যায় তাদের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দ্বারা একটি Apps এর মাধ্যমে ডাটাবেজ তৈরি করা, যাতে ওই ব্যক্তির যে কোন পরিস্থিতি সমাধানে তার অবস্থান সহজে চিহ্নিত করে রাস্ট্রীয় সহযোগীতার আওতায় নিয়ে আসা যায়।
৭. সরকারি বা বেসরকারিভাবে যারা কাজের জন্য বিদেশে যায় তাদের জন্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বীমা এবং পেনশন স্কিম চালু করার ব্যবস্থা করা।
৮. বিদেশে যদি কোন ব্যক্তি স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিকভাবে মারা যায়, তাদেরকে বিনা খরচে অতিসত্ত্বর বাংলাদেশ দূতাবাস দ্বারা দেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করা।
৯. বিদেশ থেকে যাতে রেমিট্যান্স যোদ্ধার সহজে দেশে টাকা পাঠাতে পারে তার জন্য ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মত বা এরূপ প্রতিষ্ঠান বা সহজ Apps তৈরি করা, যাতে বাংলাদেশে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ অতি দ্রুত বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়।
১০. বিদেশের সাথে শুধু শ্রমিক পাঠানোর চুক্তি না করে, শিক্ষিত, অভিজ্ঞ, গবেষক, বিজ্ঞানী,ব্যবসায়ী, বিশেষায়িত কাজে দক্ষ, ইত্যাদিদের জন্য কাজের বাজার তৈরি ও চুক্তি করে দক্ষ জনশক্তি প্রেরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা।
১১. বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর প্রবাসীদের পাসপোর্ট সহ অন্যান্য কাগজাদীর কাজ সহজে ও দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা ও হয়রানি বন্ধ করার জন্য আইনের যথাপোযুক্ত প্রয়োগ করা।
১২. অভিবাসন আইন, প্রবাসী নিরাপওা আইনের বাস্তবসম্মত প্রয়োগের মাধ্যমে প্রবাসীদের নাগরিক সন্মান ও সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়েন কার্যকর উদ্যেগ গ্রহন করা।
১৩. সাবেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা যারা নূন্যতম ১০ বছর প্রবাসে ছিলেন তাদের রাস্ট্রীয় ভাতা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্হা গ্রহন ও কার্যকর করা।
১৪. সকল প্রবাসীদের NID কার্ড বাস্তবায়নসহ নির্দিষ্ট পরিচয় পত্র প্রদান করা।
১৫. প্রবাসীরা যাতে পরিজনের সাথে VPN ছাড়া সহজে কথা বলতে পারে সেরূপ Apps তৈরির ব্যবস্থা গ্রহন করা।