মো: আবদুল কাদের,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
উৎসব মুখর পরিবেশে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সাগরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার সোহাগ।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে দৌড়, বিস্কুট দৌড়, হাড়ি ভাঙ্গা, অংক দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজ সহ বিভিন্ন ইভেন্টে খেলাধূলা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহিমের সঞ্চলনায়, অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রায়পুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ টিপু সুলতান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রায়পুর উপজেলা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবীবুর রহমান, ৭নং বামনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, আবুল হাসনাত সুমন পাটওয়ারী,
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কে, এস পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন,মো: ফিরোজ আলম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট এজেন্ট ব্যাংক কাফিলাতলী শাখার পরিচালক মাসুদ হোসেন, ৭নং বামনী ইউপি সদস্য জাহিদুল আলম সুমন, ৭নং বামনী ইউপি ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদার,আব্দুল্লাহ্ কাউসার সবুজ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে আগত বক্তরা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপর জোর দিতে হবে। এবং প্রতিমাসে ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়ার অগ্রগতি ও অবনতি সম্পর্কে অভিভাবকদের অবহিত করার জন্য শিক্ষকদের অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলী হাদয়ার সোহাগ বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বহু দেশের কাছে অনুকরণীয়। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যালয়ের ভর্তির হার শতভাগ, ছাত্রছাত্রীর সমতা, নারীশিক্ষার অগ্রগতি, ঝরে পড়ার হার দ্রুত কমে যাওয়াসহ শিক্ষার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোল মডেল এখন বাংলাদেশ। আমাদের প্রতিষ্ঠানে পড়া শোনার পাশাপাশি ছাত্র/ছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্য আমরা বিভিন্ন সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ খেলাধূলার আয়োজন করে থাকি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের পড়াশোনার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কারনে উপজেলায় শেষ্ঠ শিক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ্ আমাদের প্রতিষ্ঠানের এই ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।